Prothomalo:
2025-05-01@09:21:39 GMT

নবীজি (সা.)-এর অন্তিম সময়

Published: 21st, February 2025 GMT

হজরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) রাসুল (সা.)–কে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে তাঁর ঘর থেকে বের হয়ে এলে লোকজন জানতে চান, ‘হে হাসানের পিতা, নবীজি (সা.)–এর কী অবস্থা?’ তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, তিনি এখন সুস্থ।’

আব্বাস (রা.) তখন আলী (রা.)-এর হাত ধরে বলেন, ‘খোদার শপথ, তিন দিন পর তোমার অনুগত হয়ে থাকতে হবে। তাঁর অবস্থা যা দেখেছি, তিনি এই অসুস্থ অবস্থাতেই ইন্তেকাল করবেন। মৃত্যুর সময় আবদুল মুত্তালিবের সন্তানদের চেহারা কেমন হয়, তা আমি জানি। চলো, আমরা গিয়ে নবীজি (সা.

)-কে জিজ্ঞেস করি, পরবর্তী দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে? যদি আমাদের মধ্যে কেউ হয়, তবে তো জেনে নিলাম, অন্য কেউ হলে, তা-ও জানলাম। তিনি আমাদের অসিয়তও করবেন।’

আলী (রা.) বললেন, ‘আল্লাহর শপথ, যদি আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করি আর তিনি আমাদের না করে দেন, তবে তাঁর মৃত্যুর পরে মানুষ আমাদের তা আর দেবে না। আর আমি এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস করব না।’ (বুখারি, হাদিস: ৪৪৪৭)

আরও পড়ুননবীজি (সা.)-এর মুজিজা২৫ এপ্রিল ২০২৩

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.)-এর মৃত্যু ঘনিয়ে এল। তাঁর ঘর লোকে লোকারণ্য। আছেন ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.)। নবীজি (সা.) সবাইকে বললেন, “এসো, তোমাদের উপদেশনামা লিখিয়ে দিই যেন আমার পরে তোমরা পথহারা না হও।”

ওমর (রা.) বললেন, “রাসুল (সা.) এখন বেদনায় অস্থির। আমাদের কাছে পবিত্র কোরআন আছে, তা-ই যথেষ্ট।”

ঘরে উপস্থিত লোকদের মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিল। কেউ বলল, “তোমরা আসো, নবীজি (সা.) অসিয়তনামা লিখে দেবেন। তোমরা আর গোমরাহ হবে না।” কেউ কেউ ওমরের (রা.) মতো কথা বলল।

মতানৈক্য ও কোলাহল বেড়ে গেলে নবীজি (সা.) বললেন, “তোমরা চলে যাও।”’ (বুখারি, হাদিস: ৫৬৬৯; মুসলিম, হাদিস: ১৬৩৭)

আরও পড়ুনদুনিয়ার নারীদের সরদার হজরত ফাতিমা (রা.)১৭ মে ২০২৩

অন্য বর্ণনায় আছে, রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি যে অবস্থায় আছি, (সে অবস্থাতেই) আমাকে ছেড়ে দাও, তোমরা যার প্রতি আমাকে ডাকছ, (এটা) তার চেয়ে উত্তম।’ এরপর তিনি তাঁদের তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করে বললেন, ‘আরব উপদ্বীপ থেকে মুশরিকদের বের করে দেবে; প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে সেই পরিমাণ করই নেবে, যতটুকু আমি নিতাম। তৃতীয় বিষয়টি বর্ণনাকারী ভুলে গেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৪৪৩১; মুসলিম, হাদিস: ১৬৩৭)

এই হাদিস থেকে স্পষ্ট খেলাফত বা কোনো বিষয়েই অসিয়তনামা লেখা হয়নি। রাসুল (সা.) একটি অসিয়তনামা লিখতে চেয়েছিলেন সত্য। পরে তিনি স্বেচ্ছায় সে ইচ্ছা ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুনহজরত আলী (রা.)–র সাহসে এসে মিশেছে পাণ্ডিত্ব০৭ মে ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র অবস থ বলল ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু 

কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। 

দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি। 

সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।

সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।

টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ