সরকারি চাল দেওয়ার কথা বলে ভ্যান নিয়ে পালাল প্রতারক চক্র
Published: 23rd, February 2025 GMT
অভাবের সংসার ওমর আলীর (৬৫)। ভ্যান চালান তিনি। স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর ছোট সংসার। ভ্যান চালিয়ে যে টাকায় আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। এ রকম পরিস্থিতিতে এক প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েন তিনি। সরকারি চাল দেওয়ার কথা বলে ওই চক্র তাঁর আয়ের একমাত্র অবলম্বন ভ্যানটি নিয়ে গেছে।
শনিবার পিরোজপুরের নাজিরপুর শহরের সরকারি বালক বিদ্যালয়ের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ওমর আলীর কান্না থামছে না। বাড়িতেও যেতে চাচ্ছেন না তিনি। তাঁর বাড়ি নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাতীলাখালী গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালেও ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ওমর আলী। দুপুর ১২টার দিকে যাত্রীবেশে দুজন তাঁকে সরকারি চাল দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তাঁকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি বালক বিদ্যালয়ের কাছে নিয়ে যায়। পরে সরকারি বালক বিদ্যালয়ের এলাকায় এলে ভ্যান রেখে একজন ওমর আলীকে বিদ্যালয়ের ভেতর থেকে কিছু মালামাল আনতে পাঠায়। ওমর আলী বিদ্যালয়ের ভেতরে গেলে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
কাঁদতে কাঁদতে ওমর আলী বলেন, ‘কলেজের দিকে চলেন বলে দুই ব্যক্তি আমার ভ্যান ভাড়া নিছে। আমি সরল মনে ভাড়া নিয়ে আইছি। আসার পরে আমাকে সরকারি চালের কার্ড দেওয়া হবে জানান। তাঁরা আমাকে বলেন, “আপনি এই কার্ড দিয়ে পাঁচ কেজি চাল পাবেন আর কলেজের ভেতর থেকে থেকে কিছু মাল এনে দেওয়ার পর আপনাকে দুই শ টাকা দেওয়া হবে।’ তাঁদের কথা শুনে আমি কলেজের ভেতরে যাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বিদ্যালয়ের বাইরে এসে দেখি ভ্যান নেই। ওই ব্যক্তিরা ভ্যান নিয়ে পালিয়ে গেছে। ২৫-৩০ বছর ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। ভ্যান না ফিরে পেলে আমার আর কোনো উপায় নাই।’
ভ্যান চুরির ঘটনায় ওমর আলীর স্ত্রী নাজিরপুর থানায় কটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক কষ্টে এই ভ্যানটি কিনেছিলাম। এই ভ্যানটা চুরি হয়ে গেল। এখন তো আমাদের পথে বসতে হবে।’
নাজিরপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত (ওসি) শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই চোর চক্রকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।