শেরপুরে একটি মাইক্রোবাস বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়েছে। এতে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চারজন। গতকাল শনিবার রাত একটার দিকে শেরপুর-জামালপুর সড়কের শেরপুর পৌরসভার পূর্বশেরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন শেরপুর শহরের দুর্গা নারায়ণপুর এলাকার গৌরব দে (২৫) ও শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়ড়াপরাণপুর গ্রামের রনি (১২)। নিহত দুজনই পৌর নিউ মার্কেটের তুলির ছোঁয়া নামের একটি ছাপাখানার কর্মচারী ছিলেন।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে শেরপুর শহর থেকে জামালপুরে যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাস পূর্বশেরী এলাকায় প্রথমে একটি মোটরসাইকেলকে এবং পরে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং মোটরসাইকেলের আরোহী গৌরব ও রনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেলটির চালক শুভ। এ সময় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় অটোরিকশার তিন যাত্রী আহত হন।

খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জুবায়দুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মাইক্রোবাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ