দেশে গরম পড়তে শুরু করায় বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন না হওয়ায় এরই মধ্যে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম: ‘গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা’। অন্যান্য সংবাদপত্রেও রয়েছে এ ধরনের খবর। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের যথেষ্ট সক্ষমতা নেই, তা কিন্তু নয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সক্ষমতাও রয়েছে। তবে আমরা যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছি না মূলত প্রাথমিক জ্বালানির অভাবে। অভাবটা আসলে অর্থের। এই অর্থের যথেষ্ট জোগান থাকলে অর্জিত সক্ষমতা ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নেওয়া যেত। তাতে অর্থনীতি ও জনজীবনে সুফলও মিলত। বাস্তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্জিত সক্ষমতার অনেকখানি অব্যবহৃত থাকায় উল্টো গুনতে হচ্ছে ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’। 

বিদ্যুৎ সংকটের সঙ্গে গ্যাসের সম্পর্ক নিবিড়। সিংহভাগ বিদ্যুৎ আমরা উৎপাদন করি গ্যাস দিয়ে। এর বড় চাহিদা রয়েছে শিল্প খাতেও। ভারী শিল্পের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে দ্রুত। এ অবস্থায় বাসাবাড়িতে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের নীতি থেকে সরে আসে সরকার। সেখানে উৎসাহিত করা হচ্ছে এলপি গ্যাস ব্যবহারকে। গ্যাসের উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে সার কারখানায়। কিন্তু সব সার কারখানা একযোগে চালিয়ে এর উৎপাদন কাম্য পর্যায়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না কখনোই। এ মুহূর্তে খবর– সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে সামনে এটা জোগানো হবে বিদ্যুতে। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে পূর্ণ ক্ষমতায় চালু রাখার চেষ্টা থাকবে মার্চ থেকে। কয়লা, ফার্নেস অয়েল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টাও থাকবে। এসব জ্বালানিতে আমরা আবার ব্যাপকভাবে আমদানিনির্ভর। ‘আমদানি সক্ষমতা’র প্রশ্ন ওঠে স্বভাবতই। গ্যাসও দেশীয় উৎস থেকে যথেষ্ট মিলছে না। দেশীয় উৎস থেকে সিংহভাগ গ্যাস আবার জোগায় বিদেশি কোম্পানি। তাদের বকেয়া বিল পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। বিদেশি যেসব উৎস থেকে এলএনজি এনে পরিস্থিতি সামলানো হচ্ছে, সে ক্ষেত্রেও রয়েছে বকেয়া বিলের সংকট। এ নিয়ে ‘সরবরাহ সংকট’ দেখা দিলে কী হতে পারে পরিস্থিতি, সে প্রশ্নও সামনে এসেছে। 

বিদ্যুৎ খাতেও বকেয়া বিল পরিশোধের সংকট কম নেই। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা অন্তত অর্ধেক পাওনা টাকা চাইছে, যাতে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। ভারত থেকেও (প্রধানত আদানি) উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ আমরা আনছি। তারাও বকেয়া পরিশোধে চাপ দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে বিগত সরকারের আমলে সম্পাদিত চুক্তি প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, এ মুহূর্তে আদানির বিদ্যুৎ আমাদের লাগছে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ের হিসাবায়ন নিয়ে মতভেদ আছে তাদের সঙ্গে। গোটা জ্বালানি খাত বিগত সরকার যেভাবে সাজিয়েছিল, তাতেও আছে গুরুতর প্রশ্ন। সম্পাদিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে এ মুহূর্তে জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে– সামনেই লোডশেডিং কতটা বাড়বে। মার্চের শুরুতে রমজানও শুরু হচ্ছে। এ সময় গ্যাস সরবরাহে সংকট আরও বাড়বে কিনা– এ প্রশ্নও উপস্থিত। 
শীতেও গ্যাস সংকট কম মোকাবিলা করতে হয়নি এবার। শিল্পে তো বটেই; বাসাবাড়িতে গ্যাসের ঘাটতি অনেক ভুগিয়েছে। এলপি গ্যাসে রান্না এবং রেস্তোরাঁর ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে মানুষের। তাতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে চলমান মূল্যস্ফীতিতে। আর শিল্পের অন্যান্য সংকটের সময় যুক্ত হয়েছে গ্যাসের ঘাটতিজনিত সমস্যা। গ্যাস সংকটে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোনো কোনো শিল্পাঞ্চলে চলমান অস্থিরতা পেয়েছে নতুন মাত্রা। সামনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি গ্যাস জুগিয়ে শিল্পে সেটা কমানো হলে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, কে জানে! প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকেও গ্যাসের চাহিদা অনেক। বস্ত্র, সিরামিক, সিমেন্ট, স্টিলের মতো শিল্প গ্যাসের ওপর বিপুলভাবে নির্ভরশীল। এদিকে সরকার আবার শিল্পে (প্রধানত নতুন সংযোগে) ব্যবহৃত গ্যাসের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে চাইছে। এতে স্বভাবতই তীব্র আপত্তি রয়েছে উদ্যোক্তাদের। তবে মূল সমস্যা হলো, উচ্চ দামেও চাহিদামতো গ্যাস পাচ্ছে না শিল্প খাত। বিগত সরকারের আমলে এর দাম তো কম বাড়ানো হয়নি। তখন সংশ্লিষ্ট সবাই এটা মেনে নিয়েছিলেন এই প্রতিশ্রুতিতে– ‘নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস’ মিলবে। কিন্তু বাসাবাড়িতে বাঁধা বিল পরিশোধকারীরাও গ্যাস ঠিকমতো পাচ্ছে না। 

গ্যাসের চাহিদা সঠিকভাবে নির্ণীত হয়নি বলেই মনে হয়। বিদ্যুতের চাহিদাও কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা রয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে বলেই দাবি। এ অবস্থায় গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহে কতটা কী ঘাটতি হচ্ছে, তা নিশ্চয় স্বচ্ছভাবে জানানো হবে। আগাম তথ্য পরিবেশন করে বিভিন্ন খাতকে প্রস্তুত রাখার ব্যাপারও রয়েছে। তাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়তো কিছুটা সুবিধা হবে। সংকটকালে গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতে অপচয় রোধের কথাটি বলা হয়ে থাকে। সম্প্রতি জ্বালানি উপদেষ্টা জোর দিয়েছেন এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে এনে দুই হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ওপর। তাদের ধারণা, সামনে লোডশেডিং দুই হাজার মেগাওয়াটের মধ্যেই থাকবে। সব খাতে এসির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে তাহলে আর লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন হবে না– এটাই তাঁর অভিমত। এমন অভিমত অতীতেও কম শোনা যায়নি। বাস্তবতা হলো, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা কঠিন। সরকারি সংস্থা প্রদত্ত হিসাবে গরমিলও থাকে। উপদেষ্টা পরিষদ না চাইলেও আমলারা সংকটের তীব্রতা কিছুটা হলেও আড়াল করতে চাইবে। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎ না পেলে সংশ্লিষ্ট সবাই ঠিকই বুঝতে পারবে এর তীব্রতা। এসব জরুরি সেবা ঘিরে অতীতে বড় অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষ অবশ্য অনুধাবন করছে, এসবের জন্য বর্তমান সরকার দায়ী নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা বরং হিমশিম খাচ্ছে।

রমজানে পণ্যের বাজার শান্ত রাখতে এবার আগে থেকেই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তবে ঘনায়মান গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট সুনিয়ন্ত্রণে থাকবে না বলে মনে হচ্ছে। বকেয়া বিল পরিশোধের সংকটে সরকার কেবল বিপিসির ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পেরেছে বলে জানা যায়। সংকট নাকি আরও বেড়েছে পিডিবি ও পেট্রোবাংলার ক্ষেত্রে। যেভাবেই হোক, এটাকে আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। আদানি, শেভরন, কাতার এনার্জিসহ যারা বিপুল অর্থকড়ি পায়, তাদের বিল পরিশোধে অন্তত আশ্বস্ত করতে হবে সরকারকে। ডলারে অর্থ পরিশোধে সংকট থাকলে সেটারও দ্রুত নিরসন জরুরি। প্রাথমিক জ্বালানি আমদানি যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়। দূরের উৎস থেকে জ্বালানি আমদানিতে বেশি সময় লাগলে সেটাও সংকট বাড়িয়ে তোলে। এলএনজি পরিশোধনে নিয়োজিত আমাদের দুটি টার্মিনালই ভাসমান। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এগুলো অকেজো হয়েও সংকট বাড়ায়। সামনে বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে ওঠার সময়ে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহও স্বাভাবিক রাখতে হবে। কূপ খনন আর সংস্কার করে উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়াস জোরদার করা চাই। অন্তর্বর্তী সরকার এ ক্ষেত্রে রেখে যেতে পারে কিছু অনুসরণযোগ্য পদচ্ছাপ। 
আমরা ধান-চাল উৎপাদনে কিছুটা সংকটে আছি। এ অবস্থায় চলমান বোরো মৌসুমে সেচে বিদ্যুৎ সরবরাহও স্বাভাবিক রাখতে হবে। নইলে ডিজেল ব্যবহারে খরচ বাড়বে কৃষকের। বিদ্যুতের অভাবে গ্রামীণ অকৃষি খাতও যেন বাড়তি সংকটে না পড়ে। এর কুপ্রভাব পড়বে কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্যে।

হাসান মামুন: সাংবাদিক, কলামিস্ট

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ য স সরবর হ ব ল পর শ ধ পর স থ ত উৎস থ ক ব যবহ র ক ষমত সরক র আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) আজ সোমবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দুপুরের পর ডিইপিজেডের সব কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিইপিজেডের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে তারা উৎপাদন করতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ডিইপিজেডে প্রায় ৯০টি কারখানার এক লাখের মতো শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়।

বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার যদি এটি অব্যাহত থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। শ্রমিকেরা কাজ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘তিতাস বলছে, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে। তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, বেপজাকে কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের আগে ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনা করে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল।’

এ বিষয়ে ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্যাসের কোনো প্রেশার নেই। প্রেশার শূন্য। কিন্তু কেন তিতাস কর্তৃপক্ষ এমনটি করল, সে ব্যাপারে এখানকার (আশুলিয়া অঞ্চলের) তিতাসের লোকজন কিছু বলতে পারেননি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে জানি না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, বকেয়া নিয়ে কোনো ধরনের মামলা নেই। তিতাস কেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল, সেটি জানা নেই।’

জানতে চাইলে তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত। দুপুরের দিকে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদানির সঙ্গে চুক্তি ক‌রে শুল্ক ফাঁকি
  • শিল্প খাতের উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়
  • কারাগারে গাঁজা সরবরাহ করতে গিয়ে নিজেই কারাগারে
  • ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা কী
  • ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ নেই, ৯০ কারখানায় ছুটি
  • মঙ্গলবার ৭ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব জায়গায়
  • পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত
  • পর্তুগাল ও স্পেনে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিপর্যয়, পর্যুদস্তু জনজীবন
  • হাসপাতালে ডায়রিয়ার প্রকোপ শয্যা ও স্যালাইন সংকট
  • বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ