জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস ২০২৪ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের আয়োজন চলছে
Published: 24th, February 2025 GMT
‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস ২০২৪’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের আয়োজন চলছে। দেশের ভৌতকাঠামো বিনির্মাণে আরও বেশি সচেতন ও পেশাদারি মনোভাব গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জিপিএইচ ইস্পাত ও প্রথম আলো যৌথভাবে দ্বিতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
আজ সোমবার প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি দল অংশগ্রহণ করেছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত রাজধানীর গ্রিন রোডের ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে এই প্রতিযোগিতা চলে।
এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে বিকেল চারটায় শুরু হয় ‘চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান’। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, যুব কার্যক্রম ও ইভেন্টসের প্রধান সমন্বয়কারী মুনির হাসান। এরপর জিপিএইচ ইস্পাতের প্রযুক্তির ওপর একটি ভিডিও পরিবেশন করা হয়।
২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। এতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ১৮৮টি দল নিবন্ধন করে। প্রতিযোগিতার কয়েক ধাপ অতিক্রম করে ১২টি দল চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছায়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষ এবং সদ্য স্নাতকেরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
আজ চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় ১২টি দল প্রেজেন্টেশন ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। এর মধ্যে সেরা তিনটি দলকে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানারআপ ও দ্বিতীয় রানারআপ ঘোষণা করবেন বিচারকেরা।
অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ড় ন ত পর ব অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার
ফের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর কমলেও আজ বুধবার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
ঢাকা/নাজমুল/বকুল