সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার অন্যায়ভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেল খাটিয়েছে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অনেক জুলুম করেছে, অত্যাচার করেছে। তবুও তিনি এ দেশের মাটি ও মানুষকে ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আর এখন সেই জুলুমকারী ফ্যাসিস্ট নেত্রী কোথায়? দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। দেশ ছেড়ে পালানো এমন নেত্রীর রাজনীতি না করাই ভালো।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাবরের দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবাসের পর মুক্ত হয়ে নিজ এলাকায় আগমন উপলক্ষ্যে খালিয়াজুরী উপজেলা কলেজ মাঠে বিএনপির উদ্যোগে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ স্বাধীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কেস্ট’র সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো.

লুৎফুজ্জামান বাবর আরও বলেন, ফ্যাসিবাদীরা দেশে এখনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এই পাঁয়তারা মোকাবিলা করার জন্য তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের বেকারদের কাজে লাগাতে হবে। তারাই হবে দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি।

উল্লেখ্য, নেত্রকোনা জেলায় রবিবার প্রথম দিনের গণসংবর্ধনার পর দ্বিতীয় দিনে খালিয়াজুরী উপজেলা কলেজ মাঠে সংবর্ধনা জনসমাবেশে রূপ নেয়। আগামী মঙ্গলবার বিকালে মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাবর।

এম জি

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ