ভারতের কাছে হারার পর নিউ জিল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হলো বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হার মানে বাংলাদেশ। আর এই হারে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ থেকে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। রাওয়ালপিন্ডির ‘হাইওয়ে’ উইকেটেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ২৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি। বোলাররা ভালো বোলিং করলেও শেষ পর্যন্ত কাঙ্খিত জয়টি তুলে নিতে পারেনি লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দুটি বড় জুটির আক্ষেপে পুড়েছেন, ‘‘আমার মনে হয় আমরা ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলাম। মাঝে আমরা উইকেট হারিয়ে ফেলি। এমন পিচে আসলে আমাদের ব্যাটিংটা ভালো হয়নি। খুবই ভালো উইকেট ছিল। আমাদের কেবল দুটি বড় জুটির প্রয়োজন ছিল।’’

‘‘আসলে আমাদের ১০ ওভারের পরের পারফরম্যান্স বেশ হতাশাজনক। আমাদের শুরুর পারফরম্যান্সটা ক্যারি করা উচিত ছিল। নাহিদ খুবই দুর্দান্ত একজন বোলার। আজ সে যেভাবে বোলিং করেছে তাতে আমরা সবাই খুশি হয়েছি। গেল কয়েক বছর আমাদের বোলিং ইউনিটটা খুব ভালো করছে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের এখন এগিয়ে আসা উচিত।’’

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে নিয়ে ডুবল বাংলাদেশ

বাবরকে ‘জোচ্চর’ বললেন শোয়েব আখতার

শেষ ম্যাচে ২৭ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য কেবল আনুষ্ঠানিকতার হলেও শান্ত বলছেন গুরুত্বপূর্ণ, ‘‘ওই ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের জন্য আত্মবিশ্বাস বুস্ট করার ম্যাচ হবে।’’

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যর্থতার বৃত্তে নারী ফুটবল দল, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন

মাস দুয়েক আগেও ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৪ ধাপ লাফ দিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কিন্তু সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে টানা ব্যর্থতার কারণে সেই অর্জন ফিকে হয়ে গেল। টানা চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হারের ধাক্কায় ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ নিচে নেমে গেল আফঈদা-ঋতুপর্ণাদের দল।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপসেরা হয়ে মূল পর্বে ওঠার পর আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ১০৪তম স্থানে উঠে এসেছিল, যা ছিল দলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অবস্থান। সেই সময় তাদের র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট ছিল ১১৮০।

আরো পড়ুন:

আসিফের মন্তব্যে বাফুফের কাছে বিসিবি সভাপতির দুঃখ প্রকাশ

ফ্লাইট মিস করার পর ঢাকায় পা রাখলেন হামজা

এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের সাফল্যের পর বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে দেখা দিয়েছে ধারাবাহিক অবনতি। সাম্প্রতিক সময়ে খেলা চারটি ম্যাচের ফলই ছিল নেতিবাচক, যা র‌্যাঙ্কিংয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

অক্টোবর (ব্যাংকক): থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে যথাক্রমে ৩-০ এবং ৫-১ গোলে পরাজিত হয়।

নভেম্বর-ডিসেম্বর (ঢাকা): ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত তিন জাতি সিরিজে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে এবং আজারবাইজানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায়।

টানা চারটি পরাজয়ের ফলে বাংলাদেশ এখন ১০৪ নম্বর থেকে নেমে এসেছে ১১২ নম্বরে। তাদের বর্তমান র‌্যাঙ্কিং পয়েন্টও ১১৮০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১১৬৮।

যে দলগুলোর কাছে বাংলাদেশ হেরেছে, তাদের র‌্যাঙ্কিং প্রায় অপরিবর্তিত বা উন্নতি হয়েছে। থাইল্যান্ড (৫৩) এবং আজারবাইজান (৭৪) তাদের পূর্বের অবস্থানেই আছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া মালয়েশিয়া এক ধাপ উন্নতি করে এখন ৯১ নম্বরে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ নারী দলের এই র‌্যাঙ্কিং পতন স্পষ্টতই সাম্প্রতিক দুর্বল পারফরম্যান্সের ফল। কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের এখন এই পিছিয়ে পড়া কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধুরন্ধর ঝড়: ৭ দিনে আয় ৪১৩ কোটি টাকা
  • ব্যর্থতার বৃত্তে নারী ফুটবল দল, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন
  • আইফোন ১৭ বাজারে এলেও কেন বিশ্বে বিক্রির শীর্ষে আইফোন ১৬