সোনারগাঁ ঘুরে রাতে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত
Published: 27th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঘুরতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টিপুরদী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন রাজধানীর নন্দীপাড়া এলাকার কামরুজ্জামান টুটুল (৪১) ও হাবিব (৩৯)। কামরুজ্জামান পেশায় ব্যবসায়ী ও হাবিব ফিনল্যান্ডপ্রবাসী ছিলেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁদের নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মোটরসাইকেলে করে সোনারগাঁ এলাকায় ঘুরতে যান কামরুজ্জামান ও হাবিব। দিনভর সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে মেঘনা নদীতে গোসল করেন। ঘোরাফেরা শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফেরার জন্য রওনা হন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টিপুরদী এলাকায় পৌঁছালে একটি গাড়ি তাঁদের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে কামরুজ্জামান ও হাবিব মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলে কামরুজ্জামান নিহত হন। অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিবকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় কয়েকজন। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জানান, ঘটনার পর চালক গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে গেছেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।