ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) থাকা ২২ কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
তারা হলেন- সাবেক সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, আবু হেনা মোরশেদ জামান, কামরুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব হামিদুল হক, মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, ওয়াহিদুল ইসলাম, এসএম আলম, এনামুল হাবিব, শওকত আলী, রাব্বি মিয়া, ফয়েক আহমেদ, উম্মে সালমা তানজিয়া, সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস, দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ মাসুদ করিম, কামরুন নাহারা সিদ্দিকা, আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদাওস খান, তোফায়েল ইসলাম, আহমেদ কবির, সায়লা ফারজানা এবং তন্ময় দাস।
সংশ্লিষ্টদের পাসপোর্ট বাতিলের জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাসপোর্ট অধিদফতরে চিঠি দেওয়া হয়। সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব কাজী আরিফুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পাসপোর্ট অর্ডার ১৯৭৩ এর ৭ (২)(সি) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিম্মোক্ত ২২ বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্ট বাতিল এবং তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
সূত্র জানায়, পাসপোর্ট বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন ছিলেন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ডিসি (জেলা প্রশাসক) ছিলেন। সে সময় অনেকটা একদলীয় স্টাইলের নির্বাচনে তারা ব্যাপক ভোট কারচুপিতে জড়িত ছিলেন। পরে ভোট কারচুপির পুরস্কার হিসাবে দ্রুততম সময়ে তাদের পদোন্নতি ঘটে। এছাড়া অনেককে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়।
পাসপোর্ট বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে আহমেদ কবির জামালপুরে, মোখলেসুর রহমান গোপালগঞ্জে, হামিদুল হক ঝালকাঠি, ওয়াহিদুল ইসলাম মাদারিপুর, আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদাউস খান মানিকগঞ্জ, সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস ময়মনসিংহ, রাব্বি মিয়া নারায়ণগঞ্জ, ফয়েজ আহাম্মদ বগুড়া, সায়লা ফারজানা মুন্সীগঞ্জ, উম্মে সালমা তানজিয়া ফরিদপুর, দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গাজীপুরে জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি
চট্টগ্রাম নগরের উত্তর মোহরা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে বাসায় ঢুকে গুলি করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ব্যবসায়ীর নাম মো. ইউনুস। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মো. ইউনুস নদী থেকে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার বা খননযন্ত্রের ব্যবসা করেন। রাতে নিজের বাসাতেই ছিলেন তিনি। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে তাঁকে চার থেকে পাঁচটি গুলি করে। তাঁর মুখে, হাঁটুতে ও হাতে গুলি লেগেছে। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
উত্তর মোহরা এলাকাটি নগরের চান্দগাঁও থানার আওতাধীন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে রাতেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে অভিযান চলছে।