চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণে বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হারুনর রশিদসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার বারঘরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ছয়জনকে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার মাহমুদ বলেন, হারুনর রশিদের হাত ভেঙে গেছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে তাঁকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। অন্য পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহত নাজমুল আলম নামের একজন দোকানদার বলেন, ‘আমার দোকানের সামনে একটি ও তার আগে বাজারে অন্যান্য স্থানে কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে বাজার ছেড়ে পালিয়ে যায়।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সোয়া আটটার দিকে বারঘরিয়া বাজারের অমি টেলিকম ও নূর ক্লথ নামে দোকানের কাছে কয়েকজন এসে পাঁচ-সাতটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় স্থানীয় গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাকিব জড়িত বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা রাকিবের বন্ধু হিসেবে পরিচিত আল আমিনের মহানন্দা নদীর তীরের রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর চালান।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আল আমিনের রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর চালানো লোকজন পুলিশ দেখে সরে যান।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ