শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই: এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস
Published: 3rd, March 2025 GMT
সম্প্রতি এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন ও দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানিটির কাছে ব্যাখ্যা চাইলে তারা জানিয়েছে, শেয়ারের মূল্য ও লেনদেন বৃদ্ধির পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল সংবেদনশীল তথ্যের ভূমিকা নেই, অর্থাৎ কারসাজি নেই।
গতকাল ডিএসই এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলসের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চায়। ব্যাখ্যায় তারা উল্লিখিত বক্তব্য দেয়।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলসের শেয়ারের দাম বাড়ছে। সেদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। ১৬ ফেব্রুয়ারি তা ছিল ১০ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৬০ পয়সায়। এরপর দাম কিছুটা কমে। দেখা যাচ্ছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাম বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ।
একইভাবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে কোম্পানির শেয়ারের লেনদেনও বেড়েছে। সেদিন লেনদেন হয়েছে ২২ হাজার ৬৪টি শেয়ার। ১৮ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৩টি। ২৫ ফেব্রুয়ারি তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ লাখ ৩১ হাজার ২০৫। এর পর থেকে লেনদেন কমছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ১২ ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১৯ ফেব্রুয়ারি এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলসের শেয়ারের লেনদেন বেড়েছে ৮ হাজার ৬৫২ শতাংশ।
এস আলম কোলড রোলড অ্যান্ড স্টিলস ২০২৩ ও ২০২২ সালে ৫ শতাংশ এবং ২০২১ ও ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।