আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে মঙ্গলবার (০৪ মার্চ, ২০২৫) বিকেলে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এটা অবশ্য বলতে দ্বিধা নেই এই ম্যাচে আসল পরীক্ষা দিতে হবে ভারতকে। কারণ, আইসিসির ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টগুলোতে ভারতের চেয়ে অজিদের রেকর্ড অনেক ভালো। চলুন তাহলে সেসব রেকর্ডে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স যেমন:

::২০০৪ আসর::
> ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেটে হার।

আরো পড়ুন:

বেড়েছে ক্রিকেটারদের বেতন, ম্যাচ ফি

মেজাজ হারালেন শান্ত, বড় হারে আবাহনীর শুরু

:: ২০০৬ আসর ::
> নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ৩৪ রানে জয়ী।
> ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।

:: ২০০৯ আসর ::
> পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে জয়ী।
> নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নকআউট পর্বে ভারতের পারফরম্যান্স যেমন:

:: ২০০০ সালের আসর ::
> অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়াার্টার ফাইনাল: ভারত ২০ রানে জয়ী।
> দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ৯৫ রানে জয়ী।
> নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল: ৪ উইকেটে হার।

:: ২০০২ আসর ::
> দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ১০ রানে জয়ী।

:: ২০১৩ আসর ::
> শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।
> ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল: ভারত ৫ রানে জয়ী।

:: ২০১৭ আসর ::
> বাংলাদেশের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ৯ উইকেটে জয়ী।
> পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল: ১৮০ রানে হার।

ভারত ও অস্ট্রেলিয়া আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টে এ পর্যন্ত ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৪ বারের মুখোমুখিতে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৩ বার, ভারত ১ বার। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এর আগে দল দুটি একবার মুখোমুখি হয়েছিল। সেখানে ভারত জিতেছিল। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তারা একবার মুখোমুখি হয়েছিল। সেখানে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল।

উপরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে এটা বলা যায় যে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ধুন্ধুমার একটি ম্যাচ মঙ্গলবার উপভোগ করতে যাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ফ ইন ল আইস স উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়

অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।

তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।

প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।

তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।

এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।

তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।

চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।

এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।

২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।

এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।

অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • ভোরে শুরু ক্লাব বিশ্বকাপ, বিশ্বের নজর এবার যুক্তরাষ্ট্রে
  • ব্রাজিলে আলোকাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • ব্রাজিলে আলো কাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির 
  • কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি, অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ