ভারত-অস্ট্রেলিয়া: নকআউট পর্বে কার রেকর্ড কেমন?
Published: 3rd, March 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে মঙ্গলবার (০৪ মার্চ, ২০২৫) বিকেলে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এটা অবশ্য বলতে দ্বিধা নেই এই ম্যাচে আসল পরীক্ষা দিতে হবে ভারতকে। কারণ, আইসিসির ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টগুলোতে ভারতের চেয়ে অজিদের রেকর্ড অনেক ভালো। চলুন তাহলে সেসব রেকর্ডে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স যেমন:
::২০০৪ আসর::
> ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেটে হার।
আরো পড়ুন:
বেড়েছে ক্রিকেটারদের বেতন, ম্যাচ ফি
মেজাজ হারালেন শান্ত, বড় হারে আবাহনীর শুরু
:: ২০০৬ আসর ::
> নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ৩৪ রানে জয়ী।
> ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
:: ২০০৯ আসর ::
> পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে জয়ী।
> নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নকআউট পর্বে ভারতের পারফরম্যান্স যেমন:
:: ২০০০ সালের আসর ::
> অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়াার্টার ফাইনাল: ভারত ২০ রানে জয়ী।
> দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ৯৫ রানে জয়ী।
> নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল: ৪ উইকেটে হার।
:: ২০০২ আসর ::
> দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ১০ রানে জয়ী।
:: ২০১৩ আসর ::
> শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।
> ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল: ভারত ৫ রানে জয়ী।
:: ২০১৭ আসর ::
> বাংলাদেশের বিপক্ষে সেমিফাইনাল: ভারত ৯ উইকেটে জয়ী।
> পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল: ১৮০ রানে হার।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়া আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টে এ পর্যন্ত ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৪ বারের মুখোমুখিতে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৩ বার, ভারত ১ বার। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এর আগে দল দুটি একবার মুখোমুখি হয়েছিল। সেখানে ভারত জিতেছিল। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তারা একবার মুখোমুখি হয়েছিল। সেখানে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল।
উপরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে এটা বলা যায় যে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ধুন্ধুমার একটি ম্যাচ মঙ্গলবার উপভোগ করতে যাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ফ ইন ল আইস স উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন