রমজানে প্রকাশ্যে খাবার খাওয়ায় ২০ নাইজেরিয়ান মুসলিম গ্রেপ্তার
Published: 4th, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় পবিত্র রমজানে রোজা না রেখে প্রকাশ্যে খাবার খাওয়ায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। একইসঙ্গে খাবার বিক্রির দায়েও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, যেসব মুসলিমদের প্রকাশ্যে খাবার খেতে দেখা গেছে এবং যারা রমজানের শুরুতে খাবার বিক্রি করছে তাদের গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কানো প্রদেশের ইসলামিক পুলিশ।
হিসবাহের ডেপুটি কমান্ডার মুজাহিদ আমিনুদিন জানান, পুরো মাস জুড়ে এই অভিযান চলবে। তবে, অমুসলিমদের বিষয়ে এই ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, রমজানে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া করতে দেখা যাওয়াটা হৃদয়বিদারক। রমজানের প্রতি কোনও ‘অসম্মান’ ক্ষমা করা হবে না।
গ্রেপ্তারকৃত ২৫ জনকে শরিয়াহ আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান মুজাহিদ আমিনুদিন।
উল্লেখ্য, গত বছরও রোজা না রাখার জন্য মুসলিমদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তাদের রোজা রাখার প্রতিশ্রুতি আদায় করে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে, এ বছর গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মুখোমুখি হতে হবে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিরল রোগে আক্রান্ত মাহির শাহরিয়ার বাঁচাতে চায়
ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (DMD) নামক এক বিরল জেনেটিক রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন সংকটে ভুগছে শিশু মাহির শাহরিয়ার। এই রোগে আক্রান্তদের পেশী ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে এবং সময়ের সাথে সাথে তা আরও খারাপের দিকে যায়।
ডিএমডি এমন একটি রোগ যার বর্তমানে কোনো নিরাময় নেই, তবে সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে রোগীর জীবনকাল ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব। কিন্তু এই চিকিৎসার খরচ যোগান দেওয়া মাহিরের দিনমজুর বাবার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (DMD) একটি বংশগত পেশীসংক্রান্ত রোগ যা মূলত ছেলেদেরকে আক্রান্ত করে। ডিস্ট্রোফিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনের অভাবে এই রোগ হয়, যার ফলে পেশী দুর্বল ও ক্ষয় হতে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত কৈশোরের আগেই চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদপিণ্ডের জটিলতা তৈরি হয়।
মাহিরের বাবা মোঃ এনামুল হক এবং মা মোছাঃ মিতা খাতুন তাদের সন্তানের জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা পাবনার আটঘরিয়া হলেও বর্তমানে তারা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, ইসদাইর বাজার-এ ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন।
মাহিরের চিকিৎসা এবং তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও দীর্ঘমেয়াদি যত্নের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও সন্তানের জীবন বাঁচাতে এই অসহায় বাবা-মা নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আসুন, এই বিরল রোগে আক্রান্ত মাহির শাহরিয়ারকে বাঁচাতে আমরা সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। আপনার সামান্য অনুদানও তার চিকিৎসার জন্য অপরিহার্য এবং তার জীবনের সময়কাল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। মহান আল্লাহ আমাদের এই মানবিক প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।
মাহিরের পরিবারকে সাহায্য করতে বা তার অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে নিচের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন: মোবাইল নম্বর: ০১৭৩২০৬১৪৮৩