জনতা ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের ৭২ শতাংশই খেলাপি
Published: 4th, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন মোট বিতরণকৃত ঋণ ৯৩২৬৩ কোটি খেলাপি ঋণ ৬৭১৪৭ কোটি টাকা তিন মাসে বেড়েছে ৬ হাজার ৮০২ কোটি টাকা
খেলাপি ঋণ এখন ব্যাংক খাতের জন্য ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে এই খেলাপি ঋণ। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিক তথা অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬ শতাংশ। বর্তমানে জনতা ব্যাংকের মোট বিতরণকৃত ঋণের ৭২ শতাংশই খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে। ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ এখন জনতা ব্যাংকের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য মতে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা, যেটা ব্যাংকটির মোট বিতরণকৃত ঋণের ৬৬ দশমিক ১৫ শতাংশ ছিল।
কিন্তু তিন মাস পর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা, যেটা ব্যাংকটির মোট বিতরণকৃত ঋণের ৭২ শতাংশ। ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬ হাজার ৮০২ কোটি টাকা। এসব খেলাপি ঋণের মধ্যে আদায় অযোগ্য ঋণেও পরিণত হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে জানতে জনতা ব্যাংকের এমডি মুজিবুর রহমানের নম্বরে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২ শতাংশ। আলোচ্য সময় শেষে ব্যাংক খাতের ঋণস্থিতি ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গভর্নর ড.
এর আগে ব্যাংকখাতে সর্বোচ্চ খেলাপি রেকর্ড ছিল সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে। সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। ফলে তিন মাসের ব্যবধানে ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি টাকা।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের ঋণস্থিতি ছিল ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। যা মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয় ৯ শতাংশ। এরপর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। যার মধ্যে খেলাপি ঋণ ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এএ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ড স ম বর শ ষ স প ট ম বর র ড স ম বর ঋণ ব ড় ছ ঋণ র প
এছাড়াও পড়ুন:
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারের খাতে তালিকাভুক্ত অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ০.৬০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
তথ্য মতে, ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৯ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। লভ্যাংশ প্রদানে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২০ মে।
সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৫৪ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২.১০ টাকা।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯.৮১ টাকা।
এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।
ঢাকা/এনটি/ইভা