সহশিল্পীরা আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইত না : প্রভা
Published: 6th, March 2025 GMT
দেড় যুগের বেশি সময় ধরে টেলিভিশন ও ছোট পর্দায় নিয়মিত অভিনয় করছেন সাদিয়া জাহান প্রভা। মাঝে ছিলেন বিরতিতে। বিরতির সময়টা কাটিয়েছেন দেশ-বিদেশে। বর্তমানে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রভা।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ‘দ্য মেকআপ একাডেমি’ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মনোযোগী হচ্ছেন নিজের কাজে। তবে মাঝের সময়টায় কেনো কাজে বিরতি দিয়েছিলেন তা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিনেত্রীর মুখে উঠে এল মিডিয়ার সিন্ডিকেটের কথা।
অভিনেত্রী প্রভা সিন্ডিকেটের মাঝে পড়েছেন জানিয়ে বলেন, 'সিন্ডিকেট কখন গেছে, কখন এসেছে- সেটার আগেই আমাকে ছোট একটা সিন্ডিকেটের মধ্যে পড়তে হয়েছে। সেটাকে আসলে ডিরেক্টলি বলা যাবে না।'
প্রভা বলেন, '১১-১২ সালের দিকে একটা গ্যাপ গেছে আড়াই বছরের মতো। তারপর যখন আবার কাজ করতে এসেছি, আমার সাথে অনেক ডিরেক্টররা, অনেক কো-আর্টিস্টরা তখন কাজ করতে চাইতেন না; ইভেন এখনও অনেক ডিরেক্টর আমার সঙ্গে কাজ করছেন না।'
তবে অভিনেত্রী জানালেন, মুখের ওপর কাজের জন্য 'না' করে দেওয়া হয়নি কখনো। সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য শুধু অ্যাটিচিউড দিয়ে বোঝানো হত- এমনটাই হয়ত বুঝিয়েছেন প্রভা। অভিনেত্রীর কথায়, 'সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য অ্যাটিচিউড দেখে মনে হলো, আপনি বোধহয় আর কো-অপারেট করবেন না; তখন আরকি আসলে ওরা স্কিপ করে।'
শেষে অভিনেত্রী বলেন, 'এমন একটার কিছুর মধ্যে, এ ধাক্কার মধ্যে কখন সিন্ডিকেট গেছে, আদৌ শুরু হয়েছে কি না, কোনোকিছুই টের পাইনি; কারণ আমি অনেক আগে থেকেই এটা ফেস করেছি।'
বর্তমানে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রভা। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ‘দ্য মেকআপ একাডেমি’ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় মেকআপ ব্র্যান্ড ও ফ্যাশন শোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এ প্রতিষ্ঠানের নাম। সেখানেই কাজ করতে দেখা গেছে প্রভাকে।
এরই মধ্যে সম্প্রতি দেশে এসেছেন প্রভা। দেশে এসেই নিয়মিতই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন অভিনেত্রী।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।