Samakal:
2025-05-01@04:49:58 GMT

কোহলি আর কেনের মঞ্চ

Published: 9th, March 2025 GMT

কোহলি আর কেনের মঞ্চ

দাবার বোর্ডের মতোই সাজানো দু’দলের রাজা, মন্ত্রী, গজ, ঘোড়া, নৌকা, বোড়ে। যেখানে ভারত যদি শুভমান গিলকে এগিয়ে দেয়, নিউজিল্যান্ডের হাতে তখন রাচিন রবীন্দ্র। স্যান্টনারের সমান টক্কর নিতে প্রস্তুত অক্ষর প্যাটেল। লাথামের সঙ্গে যদি শ্রেয়াসকে মেলানো যায়, তাহলে ব্রেসওয়েলের সঙ্গে ভারত এগিয়ে দিতে পারে বরুণ চক্রবর্তীকে। তবে দু’দলের রাজা বোধ হয় প্রতিষ্ঠিত; একদিকে বিরাট কোহলি অন্যদিকে কেন উইলিয়ামসন। 

নিউজিল্যান্ড যে ছয়টি আইসিসি টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলেছে, তার পাঁচটিতেই সাক্ষী বছর চৌত্রিশের কেন। নিউজিল্যান্ড আজ চ্যাম্পিয়ন হলে হয়তো এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে পারেন তিনি। একই লক্ষ্য বছর ছত্রিশের কোহলিরও। এই মুহূর্তে বিশ্বক্রিকেটে যে ‘ফ্যাব ফোর’ এর কথা বলা হয়; তাদের মধ্যে জো রুট, স্টিভ স্মিথ ছাড়াও রয়েছেন কোহলি ও উইলিয়ামসন। ফাইনালের মঞ্চে তাই এই দু’জনের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।

এখন পর্যন্ত আইসিসির তিনটি ইভেন্টে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন কোহলি। ২০১৪ ও ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপের পর ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও আসর সেরা হয়েছিলেন ভারতের এই তারকা ব্যাটার। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৭৬৫ রেকর্ড রান করে আসর শেষ করেছিলেন। এক বিশ্বকাপে তাঁর চেয়ে বেশি রান আর কেউ করতে পারেননি। গত টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অবসর নিয়েছিলেন। সেখানেও এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১২৯২ রান করেছিলেন। এবারও তিনি একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে। আজ ৪৫ রান করলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ক্রিস গেইলের করা ৭৯১ রান ছাড়িয়ে যাবেন। 

অন্যদিকে স্টিফেন ফ্লেমিং ও ড্যারেন ভেট্টরির পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে এক ভরসার জায়গা করে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে ব্যাট হাতে তিনি ঠিক কতটা কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন, তা তাঁর পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। ওয়ানডে ও টি২০ ফরম্যাটে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনিই সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি সবচেয়ে বেশি ৫৩৪ রান করেছেন। বিশ্বকাপে তাঁর মোট রান ১১৬৭ এবং টি২০ বিশ্বকাপে তিনি করেছেন মোট ৭২৭ রান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ন উইল য় মসন ব র ট ক হল র ন কর সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি

গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।

বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।

মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।

যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।

বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।

মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।

ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছয় কোটি শ্রমিক রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বাইরে
  • ৩ কর্মকর্তার অবসর ও বরখাস্তের আদেশ আদালতে বহাল
  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
  • বাবার মরদেহ দুই বছর লুকিয়ে রাখেন সন্তান