দাবার বোর্ডের মতোই সাজানো দু’দলের রাজা, মন্ত্রী, গজ, ঘোড়া, নৌকা, বোড়ে। যেখানে ভারত যদি শুভমান গিলকে এগিয়ে দেয়, নিউজিল্যান্ডের হাতে তখন রাচিন রবীন্দ্র। স্যান্টনারের সমান টক্কর নিতে প্রস্তুত অক্ষর প্যাটেল। লাথামের সঙ্গে যদি শ্রেয়াসকে মেলানো যায়, তাহলে ব্রেসওয়েলের সঙ্গে ভারত এগিয়ে দিতে পারে বরুণ চক্রবর্তীকে। তবে দু’দলের রাজা বোধ হয় প্রতিষ্ঠিত; একদিকে বিরাট কোহলি অন্যদিকে কেন উইলিয়ামসন।
নিউজিল্যান্ড যে ছয়টি আইসিসি টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলেছে, তার পাঁচটিতেই সাক্ষী বছর চৌত্রিশের কেন। নিউজিল্যান্ড আজ চ্যাম্পিয়ন হলে হয়তো এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে পারেন তিনি। একই লক্ষ্য বছর ছত্রিশের কোহলিরও। এই মুহূর্তে বিশ্বক্রিকেটে যে ‘ফ্যাব ফোর’ এর কথা বলা হয়; তাদের মধ্যে জো রুট, স্টিভ স্মিথ ছাড়াও রয়েছেন কোহলি ও উইলিয়ামসন। ফাইনালের মঞ্চে তাই এই দু’জনের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
এখন পর্যন্ত আইসিসির তিনটি ইভেন্টে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন কোহলি। ২০১৪ ও ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপের পর ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও আসর সেরা হয়েছিলেন ভারতের এই তারকা ব্যাটার। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৭৬৫ রেকর্ড রান করে আসর শেষ করেছিলেন। এক বিশ্বকাপে তাঁর চেয়ে বেশি রান আর কেউ করতে পারেননি। গত টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অবসর নিয়েছিলেন। সেখানেও এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১২৯২ রান করেছিলেন। এবারও তিনি একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে। আজ ৪৫ রান করলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ক্রিস গেইলের করা ৭৯১ রান ছাড়িয়ে যাবেন।
অন্যদিকে স্টিফেন ফ্লেমিং ও ড্যারেন ভেট্টরির পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে এক ভরসার জায়গা করে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে ব্যাট হাতে তিনি ঠিক কতটা কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন, তা তাঁর পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। ওয়ানডে ও টি২০ ফরম্যাটে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনিই সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি সবচেয়ে বেশি ৫৩৪ রান করেছেন। বিশ্বকাপে তাঁর মোট রান ১১৬৭ এবং টি২০ বিশ্বকাপে তিনি করেছেন মোট ৭২৭ রান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন উইল য় মসন ব র ট ক হল র ন কর সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র
গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানেরইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।
ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।