ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন নেত্রকোণার খোকন
Published: 9th, March 2025 GMT
এবার দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন নেত্রকোণার খোকন মিয়া। পেলেন ১০ লাখ টাকা।
ঈদের আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ায় আনন্দের জোয়ারে ভাসছে খোকন মিয়ার পরিবার। এর আগে দেশজুড়ে চলমান ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এ ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ফরিদপুরের কলেজ শিক্ষার্থী রাসেল ফকির।
শনিবার (৮ মার্চ, ২০২৫) দুপুরে নেত্রকোণা সদরে মদন বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে খোকন মিয়ার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস মো.
আরো পড়ুন:
ওয়ালটনের ৩ মডেলের কমার্শিয়াল ওয়াশিং মেশিন উদ্বোধন
১০০ বিসিএস কর্মকর্তার ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন
আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে ‘দেশজুড়ে তোলপাড়, ওয়ালটন পণ্য কিনে হতে পারেন আবারো মিলিয়নিয়ার’ স্লোগানে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২। এর আওতায় চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। এছাড়া রয়েছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ২৭ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা সদরের বনোয়াপাড়া এলাকায় ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘জে এস ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রিক’ থেকে ৩৯ হাজার ২৯০ টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কেনেন খোকন মিয়া। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার একটি মেসেজ যায়।
অনুষ্ঠানে খোকন মিয়া বলেন, “ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো এবং আমার ভাগ্য এভাবে খুলবে এটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আমার হাতে ১০ লাখ টাকা তুলে দিলো ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এই টাকা দিয়ে কৃষি জমি ও গরু কিনবো। আমার মতো সাধারণ ক্রেতাদের এমন বিশাল সুবিধা দেওয়া ওয়ালটনের এক মহৎ কাজ।”
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মশিউর রহমান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আদনান রায়হান এবং ওয়ালটনের পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ‘জে এস ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রিক’ এর স্বত্ত্বাধিকারী মাহাবুব আলম তামিমসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
ঢাকা/পলাশ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১০ ল খ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া