কুড়িগ্রামে ট্রাক্টর চাপায় ২ কলেজ ছাত্র নিহত
Published: 9th, March 2025 GMT
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ট্রাক্টর চাপায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহী নিহত হয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের নিরাশির বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার পাণ্ডুল ইউনিয়নের মিনাবাজার ঢেঁকিয়ারাম এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সৌরভ আলী (১৯) ও বকিয়ত আলীর ছেলে প্লাবন মিয়া (১৮)। দুজনই কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সৌরভ ও প্লাবন দুই বন্ধু মিলে পার্শ্ববর্তী চিলমারী উপজেলার থানাহাট বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে উলিপুর ফিরছিল। পথে নিরাশির বাজার বটতলা এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক্টর তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সৌরভ মারা যান।
এসময় গুরুত্বর আহত অবস্থায় প্লাবন মিয়াকে উদ্ধার করে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
ঢাকা/বাদশাহ্/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উল প র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল