চ্যাটজিপিটি কি সত্যিই মানুষের মতো মানসিক চাপ ও উদ্বেগ অনুভব করে
Published: 11th, March 2025 GMT
কোনো বিষয় মনমতো না হলেই অনেকের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। এ সময় রাগের বশে তির্যক মন্তব্য করার পাশাপাশি বিভিন্ন নেতিবাচক কাজও করেন তাঁরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, হিংসাত্মক বিভিন্ন বিষয়ে প্রম্পট দেওয়া হলে ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটও মানুষের মতো মানসিক চাপ ও উদ্বেগ অনুভব করে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগের কারণে ভিন্ন আচরণ করে থাকে চ্যাটজিপিটি। সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক এ গবেষণা পরিচালনা করেছেন।
বৈজ্ঞানিক সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত গবেষণার তথ্যমতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চ্যাটবটের সক্ষমতা যাচাই করতে মন্ট্রিল কগনিটিভ অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষার মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি ৪, ৪ও, ক্লড ৩.
গবেষণার তথ্যমতে, উদ্বেগ বেশি হলে চ্যাটবট ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় ভিন্ন আচরণ করে থাকে চ্যাটজিপিটি। ফলে আবেগকে প্ররোচিত করতে সক্ষম প্রম্পট ব্যবহার করলে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের উদ্বেগ বৃদ্ধি হতে পারে। তখন তাদের আচরণে প্রভাব দেখা যায়। তখন চ্যাটবট পক্ষপাতমূলক আচরণ করতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি
আরও পড়ুনচ্যাটজিপিটি বনাম গ্রোক, কোন চ্যাটবট বেশি কার্যকর২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য টবট
এছাড়াও পড়ুন:
সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়—সমর্থকদের বিদ্রুপ
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে আল-নাসর। তবে মাঠের ফলাফলের চেয়েও এখন আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ শেষে তার ‘বিষণ্ণ ও নাটকীয়’ আচরণ উপহাস হিসেবে দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
বুধবার রাতে জেদ্দার আলিনমা স্টেডিয়ামে জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। এই পরাজয়ে রোনালদোর দলের সামনে চলতি মৌসুমে আর কোনো ট্রফি জয়ের সুযোগ থাকল না। সেমিফাইনালের ম্যাচটিতে রোনালদো একটি সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করে। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষককে কাটিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ মহাতারকা। সমর্থকদের মতে, রোনালদোর গোল মিস করাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে হতাশ রোনালদোকে দেখা যায় মাঠের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলতে ও আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে হাত নেড়েছেন। তার এই অদ্ভুত আচরণ নিয়েই এখন সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘রোনালদোর জন্য ‘ফুটবলকে ছেড়ে দাও, তার আগেই যে ফুটবল তোমাকে ছাড়বে’—এই কথাটা একেবারে যথার্থ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই লোকটা এখন আর মজার না… শুধু অহঙ্কারে ভরা।’
তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মেসির বিশ্বকাপ জয় মানসিকভাবে শেষ করে দিয়েছে রোনালদোকে।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে বলেন, ‘ক্যামেরার জন্য এমন মরিয়া চেষ্টাও এক রকম প্রশংসার দাবি রাখে—যদি না সেটা এত করুণ হতো।’
অনেকে আবার রোনালদোর স্বার্থপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়।’
তবে এত সমালোচনার পরও অবসরের কোনো ইঙ্গিত দেননি রোনালদো। বরং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রতি নিজের গর্বের কথা জানান তিনি। রোনালদো লেখেন, ‘সবসময় স্বপ্ন পূরণ হয় না। তবে আমি গর্বিত আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে। যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সমর্থন আমাদের অনেক কিছু বলে।’
এদিকে ম্যাচ শেষে আল-নাসরের কোচ স্তেফানো পিওলি দলের পারফরম্যান্সে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশলে সমস্যা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। তবে যে পারফরম্যান্স হয়েছে, তা হতাশাজনক। প্রতিপক্ষ আমাদের চমকে দেয়নি, বরং নিজেদের দুর্বলতাই বড় ধাক্কা দিয়েছে।’
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে আল-নাসর, আর প্রশ্নটা থেকে গেছে—রোনালদো আসলে কোথায় গিয়ে থামবেন?