উপকরণ
আদা বাটা আড়াই টেবিল চামচ, রসুন বাটা আড়াই টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, সর্ষে ১ চা-চামচ, জিরা ১ চা-চামচ, লবঙ্গ ৮/৯ টি, কালো গোলমরিচ ১ টেবিল চামচ, দারুচিনি ২ ইঞ্চি লম্বা ১টি স্টিক, সরিষার তেল ২ কাপ, শুকনা মরিচ ৭/৮টি, কাঁচামরিচ ৩টি, রসুন কোয়া ৩-৪টি, আদা ১ ইঞ্চি টুকরা, ভিনেগার ২ টেবিল চামচ, মাটন দেড় কেজি চার কোনা করে কেটে নিন, পেঁয়াজ মিহি কুচানো দেড় কাপ, কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ফুটন্ত গরম পানি ১ কাপ, আখের গুড় ৩/৪ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
আরও পড়ুনআচারি ছোলার রেসিপি১০ মার্চ ২০২৫প্রণালি
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে তাতে আদা রসুন বাটা, লবণ ও হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে রাখুন।এবার প্রথমে একটি পেস্ট তৈরি নিন। ব্লেন্ডারে সরষে, জিরা, লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারুচিনি দিয়ে গুঁড়া করে নিন। চুলায় কড়াই দিন। গরম হলে তাতে ১ টেবিল চামচ তেল দিন। গরম হলে আঁচ কমিয়ে শুকনা মরিচ, কাঁচামরিচ, রসুন, আদা দিয়ে একটু স্যতে করে নিন। নামিয়ে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। হাতের কাছে না থাকলে টক দই দিতে পারেন। এই মিশ্রণটির সঙ্গে মেরিনেট করা মাংস ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার রেফ্রিজারেটরে সারা রাত ঢেকে রেখে দিন। পরদিন চুলায় কড়াইয়ে বাকি তেল দিন। গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিন। মাঝারি আঁচে নেড়ে ভাঁজতে থাকুন। পেঁয়াজ স্বচ্ছ হয়ে আসলে কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া দিন। নেড়ে নিন। এতে মেরিনেট করে রাখা মাংস মিশিয়ে দিন। আঁচ মাঝারি রেখে কষিয়ে নিন। ঢাকা দিয়ে রান্না করুন আরও মিনিট বিশেক। মাংস থেকে যে পানি বের হবে তাতে কষানো হয়ে যাবে। এবার গরম পানি দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে আঁচ কমিয়ে আনুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যেন লেগে না যায়। ঘণ্টা খানিক সময়ে মাংস সেদ্ধ হয়ে মাখা মাখা ঝোল হয়ে এলে আখের গুড় দিন। লবণ চেখে নিন। লাগলে মিশিয়ে নিন। মিনিট ২-৩ পরেই ঘন হয়ে আসলে তেল ভেসে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিন। গরম ভাত, রুটি কিংবা পোলাও এর সঙ্গে পরিবেশন করুন মাটন ভিন্দালু।
আরও পড়ুনসাদা শর্ষের রুই রাঁধবেন যেভাবে, দেখুন রেসিপি৫৩ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।