গত ৬ মার্চ থেকে নতুন করে ওমরা ভিসা ইস্যু স্থগিত রেখেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি অ্যাম্বেসি। তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত; তা জানে না কোনো হজ এজেন্সি।

এতে বিপাকে পড়েছেন অধীর আগ্রহে বসে থাকা কাবার পথযাত্রীরা। আর বুকিং দেওয়া বিমানের টিকিটে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পথে এজেন্সিগুলো। কারণ, হজের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে বেড়েছে ওমরাযাত্রীর সংখ্যা। প্রতি মাসে দেশ থেকে কাবা শরিফ তাওয়াফে যান ২৫-৩০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি। রমজান মাসে তা বেড়ে হয় তিন গুণ। কিন্তু হঠাৎ করেই চলতি ৬ মার্চ থেকে নতুন করে ওমরা ভিসা ইস্যু স্থগিত রেখেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি অফিস।

ট্যুর হাব বিডির সিইও সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘এখন ওমরা হজের ভিসা ইস্যু হচ্ছে না। আমাদের এখানে প্রচুর ভিসার আবেদন করা হয়েছে। এগুলো অনুমতি পাবে নাকি পাবে না, এ নিয়ে কী হচ্ছে কেউ কিছু জানে না।’

অনাকাঙ্ক্ষিত এই সংকটে কিছুটা স্বস্তির আভাস দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.

আল মাসুদ খান বলেন, যেসব ওমরা যাত্রী বিমানের অগ্রীম বুকিং দিয়েছেন, তারা নিয়ম মেনেই রিফান্ড বা তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।

এদিকে কী কারণে বা কবে স্বাভাবিক হবে ওমরা ভিসা কার্যক্রম, তা জানাতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ও। তবে হজ এজেন্সিজ অব বাংলাদেশের (হাব) ইফতার মাহফিলে বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক বলেন, বিষয়টি নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

তিনি বলেন, সমন্বয়কারী এজেন্সিগুলো ওমরা হজ নিয়ে ভিসার ইস্যু বন্ধের যে কথা জানিয়েছেন, সেটা সৌদি দূতাবাসে লিখিতভাবে জানানো হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ওমর হ

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে

ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।

১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ