Risingbd:
2025-11-03@09:31:56 GMT

প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের দিন

Published: 13th, March 2025 GMT

প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের দিন

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বোলাররা আরেকটি দিন রাঙিয়েছেন। তিন মাঠে তিন খেলায় ব্যাটসম্যানরা স্রেফ ধুকেছেন। রান হয়নি কোনো ম্যাচেই।

সাভারের বিকেএসপিতে শাইনপুকুর মাত্র ১৬১ রান করতে পারে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে। পাশের মাঠে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায়। এছাড়া মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্স করতে পারে ২২৮ রান।

গাজী গ্রুপ ১৯৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে। অগ্রণী ব্যাংক ৫ উইকেটে হারায় ধানমন্ডি ক্লাবকে। এছাড়া গুলশান জয় পায় ৬ উইকেটে।

আরো পড়ুন:

আগের ম্যাচে ৪২২, এবার ১৫২ রানে অলআউট!

মাহফুজুরের স্পিন বিষে নীল পারটেক্স

গাজী গ্রুপের জয়ের নায়ক স্পিনার শামীম মিয়া। ২২ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ৩ উইকেট পেয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে শাইনপুকুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন জুবায়ের হোসেন। ২৯ রান আসে অনিক সরকারের ব্যাট থেকে।

বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও গাজী গ্রুপ ছিল এগিয়ে। দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান ৫০ ও এনামুল হক বিজয় ৫২ রান করেন। সালমান হোসেন ইমন ২৩ ও শামসুর রহমান ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

ধানমন্ডি ক্লাবকে গুড়িয়ে দেন পেসার রবিউল হক। অগ্রণী ব্যাংকের ডানহাতি পেসার রবিউল ১৪ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমান। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও ধানমন্ডি ক্লাব পেরে ওঠেনি। মইন খান দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। এছাড়া নুরুল হাসান ২২, সানজামুল ইসলাম ১৮ রান করেন। ফজলে মাহমুদ ১, আশিকুর রহমান শিবলি ২ ও ইয়াসির আলী ১ রান করেন।

অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন মার্শাল আইয়ুব। ৯২ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। এছাড়া তাইবুর ২২, সাদমান ১৮ রান করেন।

মিরপুরে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে হারিয়েছেন পেসার আসাদুজ্জামান পায়েল। ৫৩ রানে ৪ উইকেট নেন। তার রঙিন দিনে তিন অঙ্কের দেখা পাননি অমিত মজুমদার। ১০৮ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় অমিত ৮৮ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক আল-আমিন ২৮, মাহমুদুল হাসান ২৩ রান করেন। শেষ দিকে আরিফুল হকের ৪০ রানে রূপগঞ্জ টাইগার্সের স্কোর দুইশ পেরিয়ে যায়।

আসাদুজ্জামান পায়েলের ৪ উইকেট বাদে ৩ উইকেট পেয়েছেন নিহাদুজ্জামান। ১টি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান ও ফরহাদ রেজা।

লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম রানের দেখা পান। জাওয়াদ ৬৭ ও আজিজুল ৪০ রান করেন। তিনে নামা খালিদ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। এছাড়া নাঈম ইসলাম ২১, ইফতেখার ইফতি ২৫ ও হাবিবুর শেখ মুন্না ২৪ রান করেন। তাতে অতি সহজেই জয় পায় গুলশান।

চার রাউন্ড শেষে রূপগঞ্জ টাইগার্স এখনও জয়ের মুখ দেখেনি। ধানমন্ডি ক্লাবের এটি চার ম্যাচে দ্বিতীয় পরাজয়। গুলশান চার ম্যাচে দুটি করে জয় ও পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন র রহম ন ধ নমন ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক

গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।

জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’

অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।

জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ