Risingbd:
2025-04-30@23:40:17 GMT

প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের দিন

Published: 13th, March 2025 GMT

প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের দিন

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বোলাররা আরেকটি দিন রাঙিয়েছেন। তিন মাঠে তিন খেলায় ব্যাটসম্যানরা স্রেফ ধুকেছেন। রান হয়নি কোনো ম্যাচেই।

সাভারের বিকেএসপিতে শাইনপুকুর মাত্র ১৬১ রান করতে পারে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে। পাশের মাঠে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায়। এছাড়া মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্স করতে পারে ২২৮ রান।

গাজী গ্রুপ ১৯৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে। অগ্রণী ব্যাংক ৫ উইকেটে হারায় ধানমন্ডি ক্লাবকে। এছাড়া গুলশান জয় পায় ৬ উইকেটে।

আরো পড়ুন:

আগের ম্যাচে ৪২২, এবার ১৫২ রানে অলআউট!

মাহফুজুরের স্পিন বিষে নীল পারটেক্স

গাজী গ্রুপের জয়ের নায়ক স্পিনার শামীম মিয়া। ২২ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ৩ উইকেট পেয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে শাইনপুকুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন জুবায়ের হোসেন। ২৯ রান আসে অনিক সরকারের ব্যাট থেকে।

বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও গাজী গ্রুপ ছিল এগিয়ে। দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান ৫০ ও এনামুল হক বিজয় ৫২ রান করেন। সালমান হোসেন ইমন ২৩ ও শামসুর রহমান ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

ধানমন্ডি ক্লাবকে গুড়িয়ে দেন পেসার রবিউল হক। অগ্রণী ব্যাংকের ডানহাতি পেসার রবিউল ১৪ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমান। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও ধানমন্ডি ক্লাব পেরে ওঠেনি। মইন খান দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। এছাড়া নুরুল হাসান ২২, সানজামুল ইসলাম ১৮ রান করেন। ফজলে মাহমুদ ১, আশিকুর রহমান শিবলি ২ ও ইয়াসির আলী ১ রান করেন।

অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন মার্শাল আইয়ুব। ৯২ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। এছাড়া তাইবুর ২২, সাদমান ১৮ রান করেন।

মিরপুরে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে হারিয়েছেন পেসার আসাদুজ্জামান পায়েল। ৫৩ রানে ৪ উইকেট নেন। তার রঙিন দিনে তিন অঙ্কের দেখা পাননি অমিত মজুমদার। ১০৮ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় অমিত ৮৮ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক আল-আমিন ২৮, মাহমুদুল হাসান ২৩ রান করেন। শেষ দিকে আরিফুল হকের ৪০ রানে রূপগঞ্জ টাইগার্সের স্কোর দুইশ পেরিয়ে যায়।

আসাদুজ্জামান পায়েলের ৪ উইকেট বাদে ৩ উইকেট পেয়েছেন নিহাদুজ্জামান। ১টি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান ও ফরহাদ রেজা।

লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম রানের দেখা পান। জাওয়াদ ৬৭ ও আজিজুল ৪০ রান করেন। তিনে নামা খালিদ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। এছাড়া নাঈম ইসলাম ২১, ইফতেখার ইফতি ২৫ ও হাবিবুর শেখ মুন্না ২৪ রান করেন। তাতে অতি সহজেই জয় পায় গুলশান।

চার রাউন্ড শেষে রূপগঞ্জ টাইগার্স এখনও জয়ের মুখ দেখেনি। ধানমন্ডি ক্লাবের এটি চার ম্যাচে দ্বিতীয় পরাজয়। গুলশান চার ম্যাচে দুটি করে জয় ও পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন র রহম ন ধ নমন ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি দিল র‍্যাব, চায় সাইবার ইউনিট

অপরাধের ধরন বদলে যাচ্ছে। অভিনব কৌশলে সক্রিয় সাইবার অপরাধীরা। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলা করা নতুন চ্যালেঞ্জ। এ জন্য স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট চেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন গতকাল বুধবার কর্মপরিকল্পনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। সেখানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র‍্যাবসহ একাধিক ইউনিট একুশ শতকের জটিল অপরাধ ও তা নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির বিষয়টি সামনে আনে। গতকাল পুলিশের যে ইউনিটগুলো পরিকল্পনা তুলে ধরেছে, তা হলো হাইওয়ে পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), নৌ পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), শিল্প পুলিশ, র‍্যাব, অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ ও সিআইডি।

কীভাবে প্রত্যন্ত এলাকার ভুক্তভোগী র‍্যাবের সহযোগিতা পেতে পারেন, সে বিষয়টি উপস্থাপন করেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান। তিনি দ্রুত গুজব প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থার ওপর জোর দেন। র‍্যাবের জন্য আলাদা একটি সাইবার ইউনিটের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। র‍্যাব জনবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিজি বলেন, ‘কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মানবাধিকার বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ র‌্যাব। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তদন্ত সেলকে শক্তিশালী করা হয়েছে। একটি মানবাধিকার সেলও গঠন করা হয়েছে।’
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত সূত্রের মতে, র‍্যাব ডিজির উপস্থাপনায় মূলত বাহিনীর অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়। 

সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিআইডি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়। সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি (ভারপ্রাপ্ত) গাজী জসীম অনুষ্ঠানে জানান, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী মামলার অনুসন্ধানে সিআইডি বিশেষ টিম গঠন করেছে। সাবেক মন্ত্রী, প্রভাবশালীদের সন্দেহজনক সম্পদের উৎস ও প্রকৃতি নিয়ে নিবিড়ভাবে চলছে তদন্ত। এস আলম, বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, নাবিল, ইউনিক, সিকদার গ্রুপসহ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা ও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এ সময় প্রায় ৫ হাজার ৮০০ শতাংশ জমি ও হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ শনাক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফের একটি মামলায় ১০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

সিআইডির উপস্থাপনায় আরও বলা হয়, ফরেনসিক শাখা দিন দিন অপরাধ বিশ্লেষণের নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জনবল, সরঞ্জাম এবং অর্থের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি সিআইডিতে আছে কাঠামোগত ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ। কোনো জেলা ইউনিটে একটিও অপারেশনাল যানবাহন নেই। এ ছাড়া অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে অনিয়মিত বদলি আতঙ্ক রয়েছে। সাইবার পুলিশ সেন্টারে রয়েছে সরঞ্জামের অভাব। ফরেনসিক ল্যাবে সফটওয়্যারের জন্য বাজেট-স্বল্পতার কথা তুলে ধরেন তারা।

হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়। মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কের সিসিটিভি থেকে হাইওয়ে পুলিশ ডিজিটাল অটো ফাইন সিস্টেম, ট্রাফিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ক্লোন নাম্বারপ্লেট শনাক্ত, হাইস্পিড ডিটেকশন করে থাকে।

এর আগে মঙ্গলবার পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পক্ষ থেকে তাদের কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। সেখানে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারায় তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে ডিটেনশনে (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনা বিচারে আটক রাখা) নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে, সে জন্য তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ডিটেনশনে নেওয়া উচিত। সরকারের অনুমতি পেলে এসবির পক্ষ থেকে তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিস্তারিত জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। ডিটেনশনে নেওয়ার জন্য যাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, তাদের কেউ কেউ পেশাদার অপরাধী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ