‘মাইশেলফ শামসুর রহমান স্বপন, ওরফে অ্যালেন স্বপন’– সংলাপ দিয়ে শেষ হয়েছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। রহস্য রেখে শেষ হয়েছিল সিরিজটি। শেষ দৃশ্যে মুখ ঢাকা একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন স্বপন। কে সেই মুখ ডাকা মানুষ? কেনই বা স্বপনকে খুঁজছিলেন তিনি?
এমন আরও কিছু প্রশ্ন রেখে শেষ হয়েছিল ‘অ্যালেন স্বপন’কে নিয়ে নির্মিত প্রথম সিরিজ। সেসব জট এবার খুলতে যাচ্ছে।
চলে এসেছে ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’ এর ঘোষণা। ১৪ মার্চ দুপুরে চরকির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে সিজন ২ মুক্তির বিষয়ি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরেই সিরিজটি দেখতে পারবেন দর্শকরা। অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক টাকার মধ্যে দাঁড়িয়ে অ্যালেন স্বপন। মুখে তার চিরচেনা হাসি আর পরনে সাফারি।
ভিডিওতে চট্টগ্রামের ভাষায় একজনকে বলতে শোনা যায়, আমার চারশো কোটি টাকা কোথায়? এর পরেই মুখ খোলেন অ্যালেন স্বপন, বলেন, ’আপনাদের কারণে বাইরে আসতেই হলো আমার। মাইশেলফ শামসুর রহমান স্বপন, ওরফে অ্যালেন স্বপন’। সিরিজে ৪০০ কোটি টাকার রহস্য এখনও অধরা। এত পরিমাণ টাকা কার এবং এবং কোথায় লুকানো আছে, সেটিও একটি বড় প্রশ্ন হয়ে আছে দর্শকদের মনে।
চট্টগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী থেকে স্বপন কীভাবে হয়ে ওঠে মানি লন্ডারিংয়ের মূল হোতা, সেই গল্প নিয় গড়ে উঠেছিল ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ সিরিজের প্রথম সিজন। নতুন সিজনে বাড়তে পারে স্বপনের কাজের পরিসর; বদলাতে পারে কাজের ধরনও।
‘অ্যালেন স্বপন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। নতুন সিরিজ নিয়ে তার ভাষ্য, ’অ্যালেন স্বপন চরিত্রটা অনেকেরই দেখা। তারা জানেন এটা একটা মন্দ চরিত্র। নতুন সিজনে চরিত্রটি আরও ভয়ংকর রূপে হাজির হতে যাচ্ছে। আর চরিত্রটির যে দুষ্টু স্বভাব তার ধারাবাহিকতা থাকবে নতুন সিজনেও। সব মিলিয়ে চরিত্রটির নতুন আঙ্গিকে আরও বড় পরিসরে আসছে দর্শকদের সামনে।
চরকি অরিজিনাল সিরিজ ’সিন্ডিকেট’–এর একদম শেষভাগে সবার সামনে আসেন অ্যালেন স্বপন। ’সিন্ডিকেট’ থেকে নির্মিত হয় দেশের প্রথম স্পিনঅফ সিরিজ ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। দুটি সিরিজই নির্মাণ করেন শিহাব শাহীন। তিনিই নির্মাণ করছেন অ্যালেন স্বপনের দ্বিতীয় সিজনটি।
নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, “মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’ নির্মাণের অভিজ্ঞতা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জগুলোই আমাকে নতুনভাবে অনেককিছু ভাবতে শিখিয়েছে। প্রথম সিজনের সফলতার পর, দ্বিতীয় সিজন নিয়ে দর্শকদের নানা রকম প্রত্যাশা থাকে। আশা করছি নিরাশ হবেন না। খুবই প্রাসঙ্গিকভাবে গল্প ও চরিত্র এগিয়েছে। সবকিছুর পরিসর আরও বড় হয়েছে। যখন গল্প লিখি তখন চরিত্রগুলোর মধ্যে সম্পর্কের জটিলতা এবং নাটকীয়তা রাখা ছিল কঠিন, একইসঙ্গে আনন্দদায়ক।”
প্রথম সিজনের রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, আইমন শিমলা, ফরহাদ লিমন, অর্ণব ত্রিপুরা অভিনয় করেছেন দ্বিতীয় সিজনে। আছেন নতুন অভিনয়শিল্পীও। তাদের নাম শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে চরকি কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালের ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় আলোচিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘সিন্ডিকেট’। তারই চরিত্র ছিল অ্যালেন স্বপন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দেওয়া বেশ কিছু সংলাপ ও দারুণ অভিনয় দিয়ে চরিত্রটি পায় দর্শকপ্রিয়তা। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’– এর প্রথম সিজন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন স র উদ দ ন খ ন প রথম স জন
এছাড়াও পড়ুন:
সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর
জাতীয় ক্রিকেট লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিনদিনেই জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ৭ উইকেটে তারা হারিয়েছে খুলনা বিভাগকে। এদিকে সিলেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
তার ব্যাটে ভর করে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে লড়ছে সিলেট। ঢাকার করা ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের ৭ উইকেটে রান ২৬০। ৫০ রানে পিছিয়ে তারা। ১৭০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন ইবাদত হোসেন। এছাড়া শাহানুর ৩০ ও তোফায়েল ২৭ রান করেন।
আরো পড়ুন:
মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ
মিরপুরে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও যুৎসই হয়নি। এবার ২৫৫ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৮ রানে দিন শুরু করে তারা। এনামুলের ইনিংস থেমে যায় ৩৪ রানে। মোহাম্মদ মিথুন খুলতে পারেননি রানের খাতা। মিরাজ ৪৮ ও জিয়াউর এবং ইয়াসির মুনতাসির ৩২ রানের দুটি ইনিংস খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের স্কোর বড় হয়নি।
১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ২৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি। তাতে ১০৯ রানের লক্ষ্য পায় রাজশাহী। ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
হাবিবুর রহমান সোহান ৬৮ বলে ৬২ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৫ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। সাব্বির রহমান ১২ ও মেহরব ৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরল তারা।
কক্সবাজারে ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ বাজে আউটফিল্ডের কারণে ভেস্তে যায়। একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ২ উইকেট হারিয়ে রংপুরের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে। ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।
পাশের মাঠে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় খেলা হয়েছে। আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৫ রানের সঙ্গে ৫১ রান যোগ করেন বরিশাল বিভাগ। খেলা হয়েছে কেবল ১৫ ওভার। জাহিদুজ্জামান খান ৩২ ও সালমান হোসেন ইমন ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা ১৯২ রানে পিছিয়ে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল