রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করেছেন তার বাবা। অভিযুক্ত নারী সেজে বোরকা পরে কৌশলে পালানো সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। রাতে আটক করা হয় অভিযুক্ত শাহ্ আলমকে। 

জানা গেছে, উপজেলার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে ওত পেতে থাকা যুবক শাহ্ আলম (৪০) ছাত্রীটিকে ধরে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে শাহ্ আলম পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত শাহ্ আলম বোরকা পরে পালানোর চেষ্টা করে। পথে উপজেলার চিথলী বিলে ব্রিজের ওপর থেকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। 

মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা মামলা করেছেন। রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জব্দ করা জাটকা এতিমখানায় বিতরণ, সেই মাছ লুট করলেন আড়তদারেরা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জব্দ করা ৭০ কেজি জাটকা দুটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছিল। তবে সেই মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন আড়তদারের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত জাটকা রক্ষার অভিযানে আমিরাবাদ ও দশানী বাজার থেকে ৭০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস। পরে আমিরাবাদ এলাকায় জব্দ করা জাটকা উপজেলার হাজীপুর ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় কিছু দুস্থ মানুষকেও কিছু জাটকা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জাটকা নিয়ে ওই দুই মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কমিটির লোকজন সন্ধ্যায় আমিরাবাদের বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছান। তখন আমিরাবাদ বাজারের মাছের আড়তদার আবুল প্রধান, আরিফ গাজী, সেরু প্রধানিয়া, দেলু বেপারীসহ আরও কয়েকজন তাঁদের পথরোধ করেন এবং জাটকাগুলো লুট করে নিয়ে যান।

হাজীপুর মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, মাছের ওই আড়তদারেরা তাঁদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে জাটকা লুট করে নিয়ে যান। বাধা দিয়েও কাজ হয়নি। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে আবুল প্রধান, আরিফ গাজী ও সেরু প্রধানিয়ার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে দেলু ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, জাটকা লুট করা তাঁদের উচিত হয়নি। ওই জাটকা আজ (বৃহস্পতিবার) তাঁরা ফেরত দেবেন। এটি তাঁদের বড় ভুল হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জাটকা উদ্ধারে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে।

ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জাটকা উদ্ধারে তিনি থানার ওসি ও মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতিমদের জাটকা লুট হওয়ার বিষয়টি খুব দুঃখজনক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ