সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ফেসবুকে, থানা থেকে প্রত্যাহার
Published: 19th, March 2025 GMT
সিলেটের বিশ্বনাথ থানার এক উপপরিদর্শকের (এসআই) ঘুষের টাকা নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া ওই এসআইয়ের নাম আলীম উদ্দিন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিলেট পুলিশ সুপারের আদেশে আলীম উদ্দিনকে সিলেট পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। এর আগে গতকাল দুপুরের দিকে ফেসবুকে আলীম উদ্দিনের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি টিনের চালার ঘরে বসে আছেন দুই ব্যক্তি, সামনে টেবিল। দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন পোশাকধারী পুলিশ সদস্য। তবে অন্যজনকে দেখা যাচ্ছে না। তবে তাঁর কথা শোনা যাচ্ছে। এ সময় একজনকে টাকা গুনে পুলিশ সদস্যের হাতে দিতে দেখা যায়।
পুলিশ সদস্যকে টাকা দেওয়ার সময় ভিডিও করা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘বিশ হাজার আছে রাখুক্কা এখন। আর ইয়ো.
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর ২৮ আগস্ট বিশ্বনাথ থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামিদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এসআই আলীম উদ্দিন আসামিপক্ষের কাছ থেকে চার কিস্তিতে লাখ টাকা ঘুষ নেন। ওই টাকা দেন উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের ফয়সল আহমদ (৩২)। ঘুষ নেওয়ার পরও আসামি গ্রেপ্তার করেন আলিম উদ্দিন। টাকা দিয়েও কাজ না হওয়ায় ফয়সল আহমদ ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে বিভিন্ন মামলায় হাজতে ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান এসআই। এ ঘটনায় ফয়সল আহমদ গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর আলীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
সিলেটের বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত এসআই আলীম উদ্দিনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ল শ সদস য এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি করে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি ওঠে। যথাসময়ে অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপরিচালক রেজাউল করিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র আক্তার হোসেন। এই অনুসন্ধান নিয়ে দুদক থেকে আদেশ জারি করা হয় গত ১৬ এপ্রিল। তবে অনুসন্ধান-সংক্রান্ত খবরটি প্রকাশ পেয়েছে গতকাল।
দুদকের আদেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এজন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে কি-না, এ সংক্রান্ত রেকর্ড, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা।