প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।এতে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ।

শনিবার (২২ মার্চ) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর শেষে তিনি এসব কথা বলেন। যমুনার সামনে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়

ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশন প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র ইফতার মাহফিল

সিনিয়র সাংবাদিক আলী হাবিব আর নেই

তিনি বলেন, ‍সাংবাদিকদের কী সমস্যা সেটা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি, সেটা মোকাবিলার উপায় কী হতে পারে, সেটা আমরা এক্সপ্লোর করেছি। গণমাধ্যমের ইন্ডিভিজুয়াল সমস্যা কী সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছি। সমাধানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উত্তম বেস্ট পলিসি থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছি। সেগুলো থেকে বাংলাদেশে কতটা প্রযোজ্য এবং প্রয়োগ করা যাবে, সেটা বিবেচনা নিয়ে আমরা এই সুপারিশমালা তৈরি করেছি।

কামাল আহমেদ বলেন, সারাদেশে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। যারা গণমাধ্যমের স্বার্থ নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ১৪০০ লোকের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের একটা বড় সমস্যা হলো গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকে গেছে। গণমাধ্যমে মালিকানা সমস্যাটা একটা বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। মালিক হয়েছেন কারা, কী পদ্ধতিতে তারা মালিক হয়েছেন, আমরা জানি না। মালিক কারা তাদের আমরা চিনি কিন্তু তারা কী পদ্ধতিতে মালিক হয়েছেন সেটা আমরা জানি না। প্রকাশ্য, উন্মুক্ত, স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে টেলিভিশনের লাইসেন্স, সংবাদপত্র ও অনলাইনে নিবন্ধন দেওয়া হয় নাই।

কামাল আহমেদ বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর কিন্তু মালিক পরিবর্তন হয়নি, মালিকরা নিউজ রুমের পরিবর্তন এনেছেন। সম্পাদকীয় নেতৃত্বের পরিবর্তন এনেছেন। রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটছে বলে মনে করছে, তাদের সঙ্গে এক ধরনের লিয়াজোঁ  করার দরকার। সে কারণে নেতৃত্বের পরিবর্তন এনেছেন। মালিকদের প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে হয়নি, তিনি যে গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন সেটার উৎস কী? আমরা গণমাধ্যম থেকে রাজনীতিবিদদের জবাব দিতে চাচ্ছি, কিন্তু গণমাধ্যমের জবাবদিহিতা কোথায়? একটা পত্রিকা আর একটা পত্রিকার বিরুদ্ধে বলছে তার জবাবদিহিতা কোথায়? এসব প্রশ্ন আমরা বিবেচনা করে দেখেছি।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কমিশনের বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে।

কামাল আহমেদ বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান একটি গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবে-এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাসসকে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার সাথে একীভূত করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।  

সাংবাদিকদের বেতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে হবে। এটি না দেওয়ার ফলে অনেকে অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছে। তবে বেতন-ভাতার ওয়েজবোর্ডে আমাদের এখতিয়ার না থাকলেও আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। ন্যূনতম নবম গ্রেড অনুযায়ী একজন সাংবাদিকের বেতন হতে হবে। পাশাপাশি রাজধানীতে কর্মরত সাংবাদিকদের ঢাকা ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২২ মার্চ) যমুনার প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম ল আহম দ প রস ত ব সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি

চট্টগ্রাম নগরের উত্তর মোহরা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে বাসায় ঢুকে গুলি করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ব্যবসায়ীর নাম মো. ইউনুস। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মো. ইউনুস নদী থেকে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার বা খননযন্ত্রের ব্যবসা করেন। রাতে নিজের বাসাতেই ছিলেন তিনি। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে তাঁকে চার থেকে পাঁচটি গুলি করে। তাঁর মুখে, হাঁটুতে ও হাতে গুলি লেগেছে। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

উত্তর মোহরা এলাকাটি নগরের চান্দগাঁও থানার আওতাধীন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে রাতেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ