দীর্ঘ ১৭ মাস পরে ব্রাজিল জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন নেইমার জুনিয়র। কিন্তু ইনজুরি নিয়ে দল থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। সান্তোসে যোগ দিয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিতেই নতুন ইনজুরিতে পড়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। 

ওই ইনজুরির সময়ে তাকে বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করতে দেখা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, সন্তানসম্ভবা প্রেমিকা ব্রুনো বিয়ানকার্ডিকে ওই পার্টির রাতে তিনি প্রত্যারণা করে অন্য নারীর সঙ্গে সময় কাটিয়ছেন। 

অথচ নেইমার সান্তোসে ফিরেছেন ফর্মে ফেরার আশা নিয়ে এবং ব্রাজিলের জার্সিতে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার সংকল্প নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় ওই বিশ্বকাপে খেলতে হলে নেইমারকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রোনালদো দ্য ফেনোমেনন। 

ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী তারকা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি নেইমার আগামী বিশ্বকাপে থাকবে। নেইমার অসাধারণ এক প্রতিভা। কিন্তু তাকে (ব্রাজিলের জন্য) নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে। এটা (বিশ্বকাপে খেলা) তার হাতে।’ 

নেইমারের মতো ভয়াবহ সব ইনজুরি পার করেছেন ব্রাজিলের এই রোনালদোও। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফাইনালে তিনি ইনজুরি নিয়ে খেলেছেন। যদিও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারায় তার ইনজুরিকেই দায়ী করা হয়। ২০০২ বিশ্বকাপের ফাইনালেও তার ইনজুরি ছিল। ইনজুরি থেকে প্রতিপক্ষের মনোযোগ সরাতে অদ্ভূত হেয়ার স্টাইল করেছিলেন রোনালদো নাজারিও। 

নেইমারকে কী কী ত্যাগ স্বীকার করতে তা উল্লেখ করে ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদো বলেন, ‘কেবল ত্যাগের বিনিময়ে সে বিশ্বকাপে যেতে পারবে। বিশ্বকাপের বাকি আর এক বছর। সে ভালো অবস্থানে থেকে বিশ্বকাপে গেলে আমাদের (ব্রাজিলের) ভালো সুযোগ আছে। সেজন্য তাকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, ঠিক মতো অনুশীলন করতে হবে এবং ঘুমাতে হবে।’         

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল ত য গ স ব ক র করত ব শ বক প ইনজ র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও খিলগাঁওয়ে দুজনকে গুলি করে হত্যা এবং দুজনকে আহত করার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

অন্য যে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল ও পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার।

আসামিদের মধ্যে এএসআই চঞ্চল চন্দ্র গ্রেপ্তার আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, তিনি দোষ স্বীকার করেন কি না। জবাবে চঞ্চল চন্দ্র নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আগামী ১৬ অক্টোবর এ মামলার সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এদিকে ট্রাইব্যুনাল–১–এ গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সাক্ষ্য গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ