বিআইএম এর নবনির্মিত ট্রেনিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন
Published: 24th, March 2025 GMT
নির্মিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) এর ট্রেনিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকায় মিরপুর রোডে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিআইএম এর নবনির্মিত ১২ তলা ট্রেনিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন ২০২৪ এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের মা ফারহানা দিবা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিল্প সচিব মো.
উদ্বোধন পর্বের আলোচনায় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) এর নবনির্মিত ট্রেনিং কমপ্লেক্স এর মাধ্যমে আমরা যেন প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারি। এমন দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করতে পারি, যাবাংলাদেশে তো বটেই, দেশের বাইরেও আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। বিআইএম সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে পারবে।প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির সকল আধুনিক ফ্যাসিলিটিজ, যারা প্রশিক্ষণ নিতে আসবে তাদের কাজে লাগাতে হবে। এর মাধ্যমে বিআইএম দেশ ও দেশের বাইরে পরিচিত হয়ে উঠবে।”
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিআইএম ১৯৬০ সাল থেকে উল্লেখযোগ্য নাম। যেসব বিষয়ে চাহিদা রয়েছে, সেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের জনবলকে বিশ্বমানের করতে হবে। বিআইএম মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা গেলে, বাংলাদেশে আর বিদেশি জনবলের প্রয়োজন হবে না।”
২০২৪ এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “ফারহান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। তার স্বপ্ন ছিল নাসায় গবেষণা করার। সে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ছেলে ছিল। আমার ছেলেসহ সব শহীদরা চেয়েছিল ফ্যাসিবাদ মুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে। আমরা হানাহানীর বাংলাদেশ চাই না। আমার ছেলেসহ যারা জীবন দিয়েছিল, তারা যেভাবে চেয়েছিল, আমরা সেভাবে সুন্দর একটা বাংলাদেশ কামনা করছি।”
ঢাকাস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) কে শক্তিশালী করতে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ১২তলা বিশিষ্ট ট্রেনিং কমপ্লেএক্সের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫৫.৮৬ কোটি টাকা। যার মোট ফ্লোরের আয়তন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ বর্গফুট। কমপ্লেএক্সটিতে রয়েছে ২৪টি শ্রেণিকক্ষ, ৩টি সেমি গ্যালারি শ্রেণিকক্ষ, অডিটোরিয়াম, কনফারেন্স হল, সেমিনার হল, মাল্টিপারপাজ হল, ওয়ার্কশপ হল ও হোস্টেলসহ প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সুবিধা। উদ্বোধনকালে মোনাজাত পরিচালনা করেন বিআইএম মসজিদের ইমাম আব্দুল ওয়াহেদ।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কমপ ল ক স র রহম ন ব আইএম
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশন দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারলে দ্রুত রাজনৈতিক বোঝাপড়া সম্ভব: সাইফুল হক
অনেক সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝাপড়া আছে জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর জনপরিসরে কমিন্টমেন্ট আছে, জনগণের কাছে অঙ্গীকার আছে। সে কারণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারলে আগামী জুনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হবে। নূন্যতম জাতীয় ঐকমত্যের প্রশ্নে সবাই একমত হবে। এটিই হবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক অর্জন।’
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সাইফুল হকের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধ দল সংলাপে অংশ নেয়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা পুরানো জামানায় ফিরতে চাই না। যে ব্যবস্থায় একটা দলকে চূড়ান্ত কর্তৃত্ববাদী দলে পরিণত করে। দলের নেতৃত্বকে চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদী দুঃশাসককে পরিণত করে।’
তিনি বলেন, ‘এবারকার ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট হচ্ছে সেই জামানা থেকে পার হয়ে একটি গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শুরু করব, মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করব। ১৬ বছর ধরে মানুষ যে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে, এবারকার সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে বিবেচনা করে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয় যাবে।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ১৬ বছরের ‘ফ্যাসিবাদ’ বিরোধী লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে সাইফুল হক বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের বিশাল প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তা যেন হতাশায় পরিণত না হয়, দুঃস্বপ্নে পরিণত না হয়, আমরা সে লক্ষ্যে সবাই কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সংবিধান দেখতে চাই যেখানে মানুষের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, মতাদর্শ ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের কারণে রাষ্ট্র নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না। রাষ্ট্রের কাছে প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা এমন একটা সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা দেখতে চাই, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা দল ইচ্ছা করলে ক্ষমতাকে যা কিছু করবার লাইসেন্স মনে করবে না। ক্ষমতার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সাংবিধানিক এবং আইনগত গ্যারান্টি নিশ্চিত দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যেহেতু কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই, বিশেষ কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই, তাই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক আকাঙ্খা পূরণে তারা সঞ্চালক হিসবে ভূমিকা পালন করবে। আমরা কোথায় দাঁড়াব? যেখানে নূন্যতম জাতীয় ঐক্যের জায়গা সেখানে। এটা নিয়ে বেশি টানাটানি না করি। বেশি টানতে গেলে অনেক সময় দঁড়ি ছিড়ে যায়। সে কাজটা না করি।’