নির্মিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) এর ট্রেনিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকায় মিরপুর রোডে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিআইএম এর নবনির্মিত ১২ তলা ট্রেনিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন ২০২৪ এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের মা ফারহানা দিবা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত  উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিল্প সচিব মো.

ওবায়দুর রহমান এবং বিআইএম মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রাশিদুল হাসানসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী, বিআইএম এর ফ্যাকাল্টিজ ও কর্মকর্তারা। 

উদ্বোধন পর্বের আলোচনায় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) এর নবনির্মিত ট্রেনিং কমপ্লেক্স এর মাধ্যমে আমরা যেন প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারি। এমন দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করতে পারি, যাবাংলাদেশে তো বটেই, দেশের বাইরেও আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। বিআইএম সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে পারবে।প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির সকল আধুনিক ফ্যাসিলিটিজ, যারা প্রশিক্ষণ নিতে আসবে তাদের কাজে লাগাতে হবে। এর মাধ্যমে বিআইএম দেশ ও দেশের বাইরে পরিচিত হয়ে উঠবে।”

শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিআইএম ১৯৬০ সাল থেকে উল্লেখযোগ্য নাম। যেসব বিষয়ে চাহিদা রয়েছে, সেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের জনবলকে বিশ্বমানের করতে হবে। বিআইএম মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা গেলে, বাংলাদেশে আর বিদেশি জনবলের প্রয়োজন হবে না।”

২০২৪ এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “ফারহান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। তার স্বপ্ন ছিল নাসায় গবেষণা করার। সে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ছেলে ছিল। আমার ছেলেসহ সব শহীদরা চেয়েছিল ফ্যাসিবাদ মুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে। আমরা হানাহানীর বাংলাদেশ চাই না। আমার ছেলেসহ যারা জীবন দিয়েছিল, তারা যেভাবে চেয়েছিল, আমরা সেভাবে সুন্দর একটা বাংলাদেশ কামনা করছি।”

ঢাকাস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) কে শক্তিশালী করতে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ১২তলা বিশিষ্ট ট্রেনিং কমপ্লেএক্সের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫৫.৮৬ কোটি টাকা। যার মোট ফ্লোরের আয়তন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ বর্গফুট। কমপ্লেএক্সটিতে রয়েছে ২৪টি শ্রেণিকক্ষ, ৩টি সেমি গ্যালারি শ্রেণিকক্ষ, অডিটোরিয়াম, কনফারেন্স হল, সেমিনার হল, মাল্টিপারপাজ হল, ওয়ার্কশপ হল ও হোস্টেলসহ প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সুবিধা। উদ্বোধনকালে মোনাজাত পরিচালনা করেন বিআইএম মসজিদের ইমাম আব্দুল ওয়াহেদ। 

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কমপ ল ক স র রহম ন ব আইএম

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৪ সালে মেটার কাছে ৩৭৭১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার

বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৭৭১টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়ে অনুরোধ পেয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে বছরের প্রথম ৬ মাসের চেয়ে শেষ ৬ মা‌সে অনুরোধের সংখ্যা কমেছে। একই বছর গুগলের কাছে সরকার ৫ হাজার ৮২৭টি ক‌ন্টে‌ন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ) ও গুগলের (ইউটিউব) স্বচ্ছতা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মেটা ও গুগল বছরে দু’বার স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সম্প্র‌তি প্রকা‌শিত সর্ব‌শেষ স্বচ্ছতা প্রতিবেদন অনুসা‌রে, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া ও ক‌ন্টে‌ন্ট সরানোর অনুরোধ বেশি ছিল। পরের ছয় মাসে বি‌শেষ ক‌রে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব অনুরোধের‌ পরিমাণ ক‌মে আসে। সরকা‌রের নির্দেশনা অনুসারে এসব অনুরোধ জানিয়ে থাকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।  

মেটা বলছে, ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৭৭১টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। এর ম‌ধ্যে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৫০১টি অনুরোধের মাধ্যমে ২ হাজার ২৮৫টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল সরকার। এ সময় ৬৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দেয় মেটা। প্রথম ছয় মাসে মেটা ২ হাজার ৯৪০টির বেশি ক‌ন্টে‌ন্টে প্রবেশ সীমিত করে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ৬০০টির বেশি ফেসবুক মন্তব্য, পোস্ট ৩১৭টি, পেজ ও গ্রুপ ১টি এবং প্রোফাইল ৫টি।

সে বছ‌রের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৯২৬টি অনুরোধের মাধ্যমে সরকার মেটার কাছে ১ হাজার ৪৮৬টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ ক্ষেত্রে মেটা তথ্য দিয়েছে। শেষ ছয় মাসে মেটা বাংলাদেশে ১ হাজার ২৮০টির মতো ক‌ন্টে‌ন্টে প্রবেশ সীমিত করে দেয়। এর মধ্যে ফেসবুকে মন্তব্য (কমেন্ট) ১ হাজার ১৪০টি, ১২৩টি পোস্ট, ৮টি প্রোফাইল। 

সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীন বিভিন্ন অপরাধের জন্য স্থানীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি যেসব রিপোর্ট করেছে, মেটা সেসব ক‌ন্টে‌ন্টে প্রবেশ সীমিত করা হয়। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত পণ্য, ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আক্রমণ, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেওয়া ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ। 

এদি‌কে বাংলাদেশ সরকার গুগলের কাছে  এক বছরে ৫ হাজার ৮২৭টি ক‌ন্টেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৩৩৭টি অনুরোধে ৪ হাজার ৪৭০টি ক‌ন্টে‌ন্ট সরাত‌ে ব‌লে সরকার। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি অনুরোধ জানায় সরকার। এসব অনুরোধের মাধ্যম‌ে  ১ হাজার ৩৫৭টি  ক‌ন্টেন্ট সরাতে বলা হয়। এসব অনুরোধের ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে গুগল কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং ৩৭ শতাংশ ক্ষেত্রে যথেষ্ট তথ্য ছিল না। বাকিগুলো সরানো হয়।

সরকারের অনুরোধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল মানহানি, নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও সেবা এবং সরকারের সমালোচনার বিষয়বস্তু।  ইউটিউবের বিষয়বস্তু সরানোর অনুরোধ ছিল বে‌শি।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার গুগলক‌ে ২৮টি অনুরোধ জানায়। এর মধ্য ৩০টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গুগল ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দিয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • ২০২৪ সালে মেটার কাছে ৩৭৭১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
  • মেটার কাছে সরকার ৩,৭৭১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে