নেত্রকোনায় পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন ও খালিয়াজুরি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান।

আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে মোজাম্মেলকে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে গতকাল সোমবার রাত দুইটার দিকে নূরপুর-বোয়ালি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হন সাদেকুর।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নেত্রকোনার ১০টি থানায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৫৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এর মধ্যে মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ আজ সকালে জানান, মোজাম্মেলের নামে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা আছে। এর মধ্যে তাঁকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

অন্যদিকে সাদেকুর রহমানও দুটি মামলার আসামি। সাদেকুরের এক স্বজন বলেন, রাজনৈতিক মামলা করার পরপরই পুলিশ সাদেকুরকে গ্রেপ্তার করে। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি সম্প্রতি জামিনে বের হন। কিন্তু আবারও ডিবি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরমান আলী আজ সকালে বলেন, সাদেকুরের নামে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা আছে। এ ছাড়া তিনি কয়েকটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ