সামরিক শাসনের ৪৯ বছর: স্মরণে আর্জেন্টিনায় হাজারো মানুষের মিছিল

আর্জেন্টিনায় সামরিক শাসনের ৪৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানী বুয়েনস এইরেসের রাস্তায় নেমেছিলেন হাজারো মানুষ। গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) ‘স্মরণ, সত্য ও ন্যায়বিচারের’ দাবিতে আয়োজিত এই মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষেরা মশাল ও নিখোঁজ স্বজনদের ছবি হাতে নিয়ে শোক ও প্রতিবাদ জানান।

১৯৭৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সময় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আর্জেন্টিনার জাতীয় স্মরণ দিবসে (ন্যাশনাল ডে অব রিমেম্বারেন্স) সেই নিখোঁজদের স্মরণেই এ আয়োজন করা হয়।

গুম হওয়া মানুষদের স্মরণেই প্রতিবছর ২৪ মার্চ আর্জেন্টিনায় ন্যাশনাল ডে অব রিমেম্বারেন্স পালিত হয়।

আর্জেন্টিনা সরকার ঘোষণা করেছে, তারা ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত স্বৈরশাসকের শাসন আমলে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকাণ্ডের ওপর গোয়েন্দা ফাইলগুলো প্রকাশ করবে।

প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মাইলির মুখপাত্র ম্যানুয়েল অ্যাডোর্নি বলেছেন, গোয়েন্দা ফাইলগুলো ন্যাশনাল আর্কাইভে হস্তান্তর করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, সামরিক শাসনের সময় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ গুম হয়েছেন, তাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল।

সামরিক শাসনের সময় তাদের হাতে আটক অনেক নারী সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। ওই শিশুগুলো কোথায় আছে, তা অনুসন্ধানে কাজ করছে মাদার্স অব দ্য প্লাজা ডি মায়ো নামের একটি সংগঠন।

সোমবারের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন সংগঠনটির সদস্য এস্তেলা দে কারলোত্তো। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ এই লড়াইয়ে আমরা ১৩৯টি ঘটনার সমাধান করতে পেরেছি। তাদের সবাইকে খুঁজে বের করতে পুরো সমাজকে আমাদের পাশে প্রয়োজন; কখনোই খুব বেশি দেরি হয় না.

..রাষ্ট্রকে আমাদের নাতি-নাতনিদের ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দিতে হবে।’

এদিকে গুম হওয়াদের এই সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মাইলি। এ নিয়েও বিক্ষোভে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বিক্ষোভকারীরা ‘মাইলি, আবর্জনা, আপনি স্বৈরশাসক’ বলে স্লোগান দেন। তাঁরা আর্জেন্টিনার পতাকা ও খেলাধুলার স্কার্ফ ওড়ান। সেগুলোতে লেখা ছিল ‘আর কখনো নয়’।

সোমবারের এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন য় স মরণ

এছাড়াও পড়ুন:

গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ঢাকার গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে মার্কেটের পঞ্চম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের স্টেশন অফিসার এবং মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম রাইজিংবিডিকে বলেন,  ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা  সোয়া এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা ১১টা ১২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানিয়েছেন, “সকাল ১০টার দিকে আগুন লাগার খবর আসে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সোয়া এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।” 

তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি। তবে আগুন লাগার খবর পেয়ে ভিড় করে উৎসুক জনতা ও ব্যবসায়ীরা। 

ঘটনাস্থলে এখনো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ