Samakal:
2025-08-01@08:59:56 GMT

জমছে বাজার, ভিড় বাড়ছে শহরজুড়ে

Published: 25th, March 2025 GMT

জমছে বাজার, ভিড় বাড়ছে শহরজুড়ে

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে জমে উঠেছে হবিগঞ্জের বিভিন্ন বিপণিবিতান ও শপিংমল। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। প্রতিটি বিপণিবিতানে ভিড়, ক্রেতার পদচারণায় মুখর হবিগঞ্জ শহর।
শহরের শপিংমলগুলোতে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বাহারি ডিজাইনের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানগুলোতে। বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ। দাম নিয়েও এবার সন্তুষ্ট ক্রেতারা। এদিকে, ঈদ সামনে রেখে যাতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে জন্য মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও মাঠে রয়েছেন।
শহরের ঘাটিয়া বাজার, তিনকোণা পুকুরপাড়, কালীবাড়ি, বাণিজ্যিক এলাকা, বদিউজ্জামান সড়কসহ বিভিন্ন বিপণিতে দেখা গেছে ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। এর মধ্যে এসডি স্টোর, এসডি প্লাজা, এমবি প্লাজা, মধুমিতা ও খাজা গার্ডেন সিটি, আশরাফ জাহান ও তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় বেশি ক্রেতা সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। বিপণিবিতানগুলোতে বিক্রেতারা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে চেষ্টা করছেন নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি-জামা প্রদর্শনের মাধ্যমে। অনেক দোকানে ঈদ উপলক্ষে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে দেখা যায়, এবারের ঈদে তরুণীদের পছন্দ ‘পাকিস্তানি’ জামা আর তরুণদের পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। এ ছাড়া বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ফরমাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স ও থাই প্যান্ট রয়েছে প্রচুর। বিতানগুলো ঘুরে ঘুরে তরুণ ক্রেতাদের পছন্দের পোশাকটি ক্রয় করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, বিতানগুলোতে কোয়ালিটিসম্পন্ন পাঞ্জাবি তুলেছেন। কটন, কাতান, আড়ং, কাদিসহ অনেক ধরনের পাঞ্জাবি মন কাড়ছে ক্রেতার। এসব পাঞ্জাবি ক্রয় করতে ক্রেতারা বিতানগুলোতে ভিড় করছেন। তরুণীরা পাকিস্তানি জামা ছাড়াও সারারা, গারারা, শায়রা আর ইন্ডিয়ান কেটালক জামা কিনছেন। এসব জামা বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে আলিয়াকাট ও আগবান জামা, যা ১ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, ওড়না, গজ কাপড়সহ কোনো কিছুরই জোগান রয়েছে দোকানগুলোতে। 
ঘাটিয়া বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দিনে নারী ক্রেতার তেমন ভিড় নেই। ইফতারের পর থেকেই যেন মার্কেটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তারা। প্রতিটি মার্কেট ও শপিংমল ঠাসা থাকছে এ সময়। এবারের ঈদ কালেকশনে নারী ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ঢাকাইয়া জামদানি, কাঞ্জিবরণ, মুসলিম জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, সিল্ক ও বালুছড়ি শাড়ি। এসব শাড়ি ৫ 
হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতার ভিড় বাড়ছে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানগুলোতেও।
বিক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় কাপড়ের দাম বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি করছেন। বেচাকেনা জমে উঠেছে। সামনে যে ক’দিন আছে, তাতে লাভের মুখ দেখবেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী। অপরদিকে ক্রেতাদের ভাষ্য, এবার পোশাকের দাম মোটামুটি ভালো। দোকান ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাকটি ক্রয় করছেন তারা।
রাইট পয়েন্ট ফ্যাশন হাউসের বিক্রেতা ফয়সল শেখ জানান, ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন পোশাকের সংগ্রহ এনেছেন তারা। শার্ট, প্যান্ট ছাড়াও পাঞ্জাবিতে নতুনত্ব এসেছে। বাজার সহনীয় থাকায় ক্রেতা পছন্দের পোশাক কিনতে পারছেন। এসডি স্টোরের ম্যানেজার বলেন, আগের থেকে এখন বেচাবিক্রি বেশি। আগামী কয়েক দিন সেটা আরও বাড়বে। তাদের প্রতিষ্ঠানের ঢাকাইয়া জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ও সিল্ক-বালুছড়ির চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র পছন দ পছন দ র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা

শেখ হাসিনা সরকার পতনের বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকার ও বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচি ঘিরে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ নৈরাজ্য করতে পারে-এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ইউনিটকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। সেই চিঠিতে ২৯ জুলাই হতে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালকে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (রাজনীতিক উইং) এ সংক্রান্ত চিঠিতে এ সময়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনাসহ যানবাহন তল্লাশির পরামর্শও দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এসবি প্রধান গোলাম রসুল গণমাধ্যমকে বলেন, “এটা কোনো এক মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তবে আমরা কোনো বিশেষ দিন-অনুষ্ঠান ঘিরে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ-নির্দেশনা দিয়ে থাকি, এটা আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ।”

আরো পড়ুন:

সিজু নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

অধ্যাপক জওহরলাল বসাকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে: আইএসপিআর
  • রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদাল
  • সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
  • জুলাইয়ে মব তৈরি করে ১৬ জনকে হত্যা, অজ্ঞাতনামা ৫১ লাশ উদ্ধার
  • শৈলকুপায় ইউপি কার্যালয়ে তালা, বিএনপি নেতাসহ আটক ৬
  • ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ায় বিএনপি নেতা আটক
  • গোপালগঞ্জে এনসিপির অনেকের জীবননাশের হুমকি ছিল, আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে
  • ‘ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন হওয়া দেশকে স্থিতিশীলতায় ফিরিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার’
  • কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা