শাকিবের জন্মদিনে কী বার্তা দিলেন অপু-বুবলী?
Published: 28th, March 2025 GMT
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাই সিনেমা রাজ করছেন শাকিব খান। তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। ভক্ত-অনুরাগীরা তাকে কখনো ‘কিং খান’, কখনো ‘ঢালিউড কিং’, কখনো ‘নাম্বার ওয়ান শাকিব খান’ বলে ডাকেন। ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে তার শৈশব কেটেছে নারায়ণগঞ্জে। আজ ৪৬ পূর্ণ করে সাতচল্লিশে পা দিতে যাচ্ছেন এই তারকা।
শাকিব খানের জন্মদিনে ভক্তদের পাশাপাশি সহকর্মীরাও তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার প্রাক্তন দুই স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। গতকাল দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে একটি ছবি শেয়ার করেন অপু বিশ্বাস। মূলত, শাকিব-অপু অভিনীত সিনেমার দৃশ্য এটি। এ ছবির ক্যাপশনে অপু বিশ্বাস লেখেন— “শুভ জন্মদিন জীবন্ত মেগাস্টার শাকিব খান।” হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লেখেন, “আমার শাহরুখ খান।”
শবনম বুবলীও গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে শাকিব খানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। শাকিব খানের একটি ছবি শেয়ার করে এ নায়িকা লেখেন, “শুভ জন্মদিন শাকিব খান। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মহারাজা।”
আরো পড়ুন:
শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো, এটা নষ্ট হতে দেবেন না: মারুফ
সাবিলা নূরকে নিয়ে শাকিবের ‘তাণ্ডব’
শাকিবের জন্মদিনে অপু-বুবলীর শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে নেটিজেনদের একটি অংশ সমালোচনা করছেন। কেউ কেউ দুই প্রাক্তনকে আক্রমণ করেও মন্তব্য করছেন।
১৯৯৯ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ চলচ্চিত্র দিয়ে শাকিব খানের যাত্রা শুরু। সিনেমাটি বাণিজ্যিকভাবে খুব একটা সফল না হলেও নায়ক হিসেবে শাকিব খান চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অবশ্য এই বছরই আফতাব খান পরিচালিত তার প্রথম চুক্তিবদ্ধ হওয়া ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
যাত্রা শুরুর পর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাননি শাকিব। তার সময়ের বহু নামকরা নায়ক এখন আর পর্দায় নেই। অথচ শাকিব এখনো হিরো, আগের চেয়ে যেন বেশি তারুণ্যে ভরপুর নায়ক। এই নায়কের জনপ্রিয়তা শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ নয়, বিদেশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার লাখ লাখ ভক্ত। কলকাতায়ও তৈরি হয়েছে তার পরিচিতি।
করোনার দুঃসময় পেরিয়ে ২০২৩ সালে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা দিয়ে শাকিব জানিয়ে দেন, এত বছর পরও ফুরিয়ে যাননি তিনি। বাণিজ্যিক সিনেমার বিবেচনায় শাকিব একজনই। তার সময়ে তার সমকক্ষ এখনো কেউ হতে পারেননি। তারপর শাকিব উপহার দেন ‘রাজকুমার’, ‘তুফান’ সিনেমা। এবারের ঈদুল ফিতরে আসছে তার আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। এতে দ্বিতীয়বারের মতো তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ওপার বাংলার ইধিকা পাল।
শাকিব খান অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘মাই নেম ইজ সুলতান’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘মুখোশধারী’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘জানের জান’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘ঠেকাও মাস্তান’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘খুনি শিকদার’, ‘সুভা’, ‘বাঁধা’, ‘পিতার আসন’, ‘ডাক্তার বাড়ি’, ‘তুই যদি আমার হইতি রে’, ‘১ টাকার বউ’, ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’, ‘ডেয়ারিং লাভার’, ‘দুই পৃথিবী’, ‘সিটি টেরর’, ‘আমার স্বপ্ন তুমি’ প্রভৃতি।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ শাকিব খান অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ২০১৪ সালে ‘খোদার পরে মা’, ২০১৬ সালে ‘আরও ভালোবাসব তোমায়’, ২০১৭ সালে ‘সত্তা’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাকিব খান।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি