আর্থিক সংকটের কথা বলে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ দলকে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সেই সময় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে বাফুফের পাঠানো বাজেট নিয়েও ছিল নেতিবাচক আলোচনা। দুই বছর পর সেই মিয়ানমারে এবার অন্য পরীক্ষায় নামতে হচ্ছে সাবিনা খাতুন-আফেইদা খন্দকারদের।
জুনে মিয়ানমারে অনুষ্ঠেয় নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ দল। গ্রুপ ‘সি’তে স্বাগতিক মিয়ানমার ছাড়াও বাংলাদেশ খেলবে বাহরাইন এবং তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। ২৩ জুন থেকে ৫ জুলাই হবে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব। এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্ব হবে ২০২৬ সালের ১-২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায়।
নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে আট গ্রুপে ৩৪টি দল অংশ নেবে। ছয় গ্রুপ চারটি করে, বাকি দুই গ্রুপে ৫টি করে দল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্ত পর্বে নাম লেখাবে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বের টিকিট কাটার লড়াইয়টি বাংলাদেশের জন্য কঠিনই বলা চলে। তুর্কমেনিস্তান ছাড়া বাকি দুই দলই র্যাঙ্কিংয়ে সাবিনা-সানজিদাদের চেয়ে এগিয়ে। বাংলাদেশের বর্তমান র্যাঙ্কিং ১৩৩। মিয়ানমার ৫৫ ও বাহরাইনের অবস্থান ৯২তম। তুর্কমেনিস্তানের র্যাঙ্কিং ১৪১।
এএফসি কাপ সামনে রেখে ঈদের পর জাতীয় নারী দলের ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৬ এপ্রিল ক্যাম্প শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে বাফুফে। সেই ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে বিদ্রোহী নারী ফুটবলারদেরও। ঈদের পর তারা ক্যাম্পে যোগ দেন কিনা কিংবা যোগ দিলে বিদ্রোহীদের কীভাবে গ্রহণ করেন নারী দলের কোচ পিটার বাটলার, সেটাই দেখার বিষয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন