সম্প্রতি চলচ্চিত্র ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন চিত্রনায়িকা বর্ষা। তিনি বলেছিলেন, সন্তানেরা বড় হয়ে মাকে নায়িকা হিসেবে পর্দায় দেখলে নায়িকা পরিচয় কীভাবে নেবে। এই বক্তব্যের প্রতি উত্তরে তারকাদের অনেকেই বর্ষাকে একের পর এক প্রশ্ন করেছেন। এবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে বর্ষা জানালেন, তিনি যা বলেছেন এটা তার চয়েস। কিন্তু তিনি কীভাবে কথাটি বলবেন, সেই বিষয়ে আগে থেকে কোনো প্ল্যান ছিল না। 

বর্ষা বলেন, ‘‘আমি সেদিন কথা বলার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। সুতরাং আমি যে সাজিয়ে গুছিয়ে কিছু বলবো এরকম কোনো প্ল্যান ছিল না। আপনারা দেখেছেন যে, আমার হাসবেন্ড আমাকে ডাকছিলো, ‘প্লিজ একটু আসো’। সবকিছু আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলতে নেই। আমি কিন্তু বদনজর খুব বিশ্বাস করি। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমার হাসবেন্ড সেদিন বাস্তবে যা, তাই ক্যামেরার সামনে দেখাইতে গেছে তো, এই জন্যই মনে হয় কিছু কিছু জায়গায় বদনজর লেগে গেছে। ’’

বর্ষা আরও বলেন, ‘‘দেখেন, কত সুন্দর একটা প্ল্যান, কত সুন্দর একটা ডিসিশন; চলচ্চিত্র ছাড়বো এটা আমার চয়েস। আমিতো কাউকে ডিস রেসপেক্ট করিনি। কাউকে মিন করে কিছু বলিনি। এখনও বলছি না।’’

আরো পড়ুন:

জাজের ‘চিতা’য় অনন্ত-বর্ষা

অনন্ত-বর্ষার সিনেমায় বলিউডের নানা পাটেকর!

ছোট পর্দার গুণী অভিনেত্রী দীপা খন্দকার বর্ষাকে উদ্দেশ্য করে  এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘এই বয়সে আপনার সন্তান যদি আপনাকে চলচ্চিত্রের তারকা হিসেবে দেখে, এটা হবে গর্বের মুহূর্ত।’’

দীপা খন্দকারের উদ্দেশ্যে বর্ষা বলেন, ‘‘আপু আমিতো আসলে গর্ববোধ করবে, বা কি ভাববে; ওইটা মাথায় রেখে কিছু বলিনি। আমি চলচ্চিত্রে যেভাবে অভিনয় করি, তেমনি কিন্তু বিজনেসও করি। তো কাজ করা কিন্তু থেমে থাকবে না। আমি বিজনেস করবো। শুধু চলচ্চিত্র থেকে বের হয়ে আসবো। ’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ