Prothomalo:
2025-09-17@23:31:32 GMT

গাড়ির শব্দে বিরক্ত হয় পাখিরা

Published: 29th, March 2025 GMT

সাতসকালে বারান্দায় এক কাপ চা নিয়ে দাঁড়ালে দারুণ এক শহরের দেখা মেলে। একটু সময় বাড়লেই দূর থেকে বাড়তে থাকে ট্রাফিকের শব্দ আর গাড়ির হর্ন। কখনো কখনো গাড়ির শব্দে আমাদের মেজাজ বিগড়ে যায়। এমন মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার ঘটনা পাখিদের মধ্যেও দেখা যায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিশ্বের নানা প্রান্তে পাখিরা শহরায়ণের কারণে বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, রাস্তাঘাটের গাড়ির অতিরিক্ত শব্দের কারণে পাখিরা বিরক্ত হয়। বিজ্ঞানীরা গ্যালাপাগোসের কিছু পাখির ওপর এই পরীক্ষা চালিয়ে গাড়ির শব্দের প্রভাব জানার চেষ্টা করেছেন। রাস্তাঘাটের গাড়ির শব্দের কারণে অনেক পাখিকে আগ্রাসী আচরণ করতে দেখা যায়। এই রাগের কারণে প্রায়ই কিছু পাখি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। গাড়ির শব্দে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় পাখিদের।

যুক্তরাজ্যের অ্যাঙ্গেলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটি (এআরইউ) ও অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনরাড লরেঞ্জ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা পাখির এই অদ্ভুত রাগের আচরণ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছেন। পাখিদের আচরণের তথ্য অ্যানিমাল বিহেভিয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা গান গাওয়া পাখি ইয়েলো ওয়ার্বলারদের ওপর দৃষ্টি দেন। গ্যালাপাগোসে এদের বাস অনেক। এই প্রজাতির উপস্থিতির কারণে গ্যালাপাগোসকে একটি প্রাকৃতিক জীবন্ত পরীক্ষাগার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গবেষণার জন্য ফ্লোরিয়ানা ও সান্তা ক্রুজ দ্বীপের ওয়ার্বলারদের আবাসের আশপাশে নজর রাখেন। এসব পাখি বাস করে এমন ৩৮টি স্থানে একটি স্পিকার থেকে রেকর্ড করা গাড়ির শব্দ অনবরত বাড়াতে থাকেন। এসব পাখির বাস নিকটতম রাস্তার সংলগ্ন ছিল বা রাস্তা থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরে ছিল।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, রাস্তাসংলগ্ন অঞ্চলে বসবাসকারী পাখিরা নিজেদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। গাড়ির শব্দ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের আগ্রাসন স্তর বেড়ে যায়। আবার দেখা যায়, যেসব পাখি রাস্তা থেকে দূরে থাকে, তাদের রাগের মাত্রা কম। বিজ্ঞানী কাগলার আকচে বলেন, পাখিরা নিজের প্রতিরক্ষা হিসেবে গানকে সংকেত হিসেবে ব্যবহার করে। গাড়ির শব্দ পাখির সংকেতকে হস্তক্ষেপ করে। পাখিরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় গাড়ির শব্দে, আর এতেই রেগে যায় পাখিরা।

গাড়ি শব্দ শুনে রাস্তার ধারের পাখিরা তাদের গানের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে দেয়। গাড়ির শব্দের চেয়ে নিজেদের শব্দ বেশি জোরে শোনাতে চায় পাখিরা। গাড়ির বিকট শব্দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না বলেই শারীরিকভাবে আক্রমণাত্মক ভাব প্রদর্শন করে পাখিরা।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • মুসলিম পরিবারে শিশুর নিরাপত্তা
  • পুরোপুরি বিলুপ্তির পর উগান্ডায় আবার ফিরল গন্ডার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের