ঈদের দিনও থাকবে গরম, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
Published: 29th, March 2025 GMT
যদি এবার ২৯টি রোজা হয়, তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সোমবার। আর রোজা যদি ৩০টিই হয়, তবে ঈদ হবে মঙ্গলবার। এখন প্রশ্ন হলো, ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবারের ঈদুল ফিতর কাটবে তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে। বৃষ্টিপাতের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে গরমের তেজ কিছুটা কম থাকতে পারে।
চলতি মাসে এক দফা তাপপ্রবাহ হয়ে গেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা হয়ে পড়ে। রাজধানী ঢাকায় কিছুটা বৃষ্টি হয়। বেশি বৃষ্টি হয় উত্তর-পূর্বের সিলেট এবং এর কাছাকাছি এলাকাগুলোয়। এরপর থেকে তাপমাত্রা খানিকটা কমতে শুরু করে। তবে গত সোমবার থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার দেশের অন্তত সাত জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আর বৃহস্পতিবার ১৩ জেলায় ও শুক্রবার ১৫ জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল।
শনিবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় তা তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। দেশের ৪০ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, ৪০ জেলার মধ্যে ২ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাকি ৩৯ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
দুইদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে যশোরে। শনিবার ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস। শুক্রবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুইদিন ধরে তাপদাহে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে এদিন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের গরমে নাভিশ্বাস উঠে যায়।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত বছরের ৩০ জুন যশোরে তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে। এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৭২ সালে ১৮ মে। সেদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিলো ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, শনিবার সাত বিভাগে তাপপ্রবাহ ছিল। যশোরে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। রোববার আট বিভাগেই তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করার আশঙ্কা আছে। এই ধারা ঈদে চলতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো.
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, বৃষ্টি না হলে তাপ্রবাহ কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ৩১ মার্চের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও মৃদু তাপপ্রবাহ থেকে যাবে। অর্থ্যাৎ, চলতি সপ্তাহজুড়েই তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এখন তাপমাত্রা বেশি হলেও গরমের অস্বস্তি কম। কারণ, বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি কম।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছে যশোর অফিস]
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স লস য় স প রব হ ব দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।