যদি এবার ২৯টি রোজা হয়, তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সোমবার। আর রোজা যদি ৩০টিই হয়, তবে ঈদ হবে মঙ্গলবার। এখন প্রশ্ন হলো, ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবারের ঈদুল ফিতর কাটবে তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে। বৃষ্টিপাতের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে গরমের তেজ কিছুটা কম থাকতে পারে।

চলতি মাসে এক দফা তাপপ্রবাহ হয়ে গেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা হয়ে পড়ে। রাজধানী ঢাকায় কিছুটা বৃষ্টি হয়। বেশি বৃষ্টি হয় উত্তর-পূর্বের সিলেট এবং এর কাছাকাছি এলাকাগুলোয়। এরপর থেকে তাপমাত্রা খানিকটা কমতে শুরু করে। তবে গত সোমবার থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার দেশের অন্তত সাত জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আর বৃহস্পতিবার ১৩ জেলায় ও শুক্রবার ১৫ জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল। 

শনিবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় তা তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। দেশের ৪০ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, ৪০ জেলার মধ্যে ২ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাকি ৩৯ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। 

দুইদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে যশোরে। শনিবার ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস। শুক্রবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুইদিন ধরে তাপদাহে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে এদিন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের গরমে নাভিশ্বাস উঠে যায়।
 
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত বছরের ৩০ জুন যশোরে তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে। এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৭২ সালে ১৮ মে। সেদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিলো ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, শনিবার সাত বিভাগে তাপপ্রবাহ ছিল। যশোরে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। রোববার আট বিভাগেই তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করার আশঙ্কা আছে। এই ধারা ঈদে চলতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো.

ওমর ফারুক বলেন, ঈদের দিনে তাপপ্রবাহ থাকলেও একেবারে অসহনীয় গরম হওয়ার সম্ভাবনা কম। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের যেসব অঞ্চল থেকে বায়ুপ্রবাহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে, সেখানকার তপ্ত হাওয়া। এর হেরফেরে তাপমাত্রা এখন যে ধারণা করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হতে পারে। ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। 

আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, বৃষ্টি না হলে তাপ্রবাহ কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ৩১ মার্চের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও মৃদু তাপপ্রবাহ থেকে যাবে। অর্থ্যাৎ, চলতি সপ্তাহজুড়েই তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এখন তাপমাত্রা বেশি হলেও গরমের অস্বস্তি কম। কারণ, বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি কম।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছে যশোর অফিস]

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স লস য় স প রব হ ব দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা

চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।

জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”

একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”  

আরো পড়ুন:

বধূবেশে অভিষেক কন্যা

জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট

মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।” 

কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।” 

সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়। 

পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না। 

এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবারও হতাশায় ডুবিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
  • জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভিপিএনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল
  • রূপ নয়, সাহস দিয়ে জয় করা এক নায়িকা
  • টানা দুই জয়ের পর এবার হার বাংলাদেশের যুবাদের
  • ভারতের অর্থনীতি মৃত, ট্রাম্প ঠিকই বলেছেন: রাহুল
  • হেনরির ৬ উইকেটের পর দুই ওপেনারে নিউজিল্যান্ডের দিন
  • অসুখবিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না: ববিতা
  • নিশ্ছিদ্র দাপটে উরুগুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে ও অলিম্পিকে ব্রাজিল
  • যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা