স্বাগতিক দেশ চীন ড. ইউনূসের সফরটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান। 

তিনি বলেন, এক বছরের কম সময়ের মধ্যে চীনে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের দুটি সফর হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টার সফর তুলনার বিষয় রয়েছে। এর মানে হচ্ছে স্বাগতিক দেশ চীন ড. ইউনূসের সফরটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে একটা নতুন ভারসাম্য তৈরির প্রচেষ্টা এখানে দেখা গিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ড.

ইউনূসের কারণে পূর্বের ঋণের সুদ হার কমানোতে ইতিবাচক মনোভাব, পানি ব্যবস্থাপনা বা বেল্ট অ্যান্ড রোড (বিআরআই) উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রযুক্তির হস্তান্তর ও চীনা প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোর রিলোকেশনের মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে। যা বাংলাদেশের বাণিজ্য ভবিষ্যতে তৈরি পোশাকখাতের নির্ভরতা কাটিয়ে বৈচিত্র আনতে পারবে।

অন্য দিকে তিস্তা প্রকল্পের মতো সংবেদনশীল প্রকল্পে চীনকে আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে এমন এক অবস্থা তৈরি হয়েছে, যার ফল ইতিবাচক না নেতিবাচকভাবে বাংলাদেশের ঝুলিতে আসবে, তা বুঝতে সময় প্রয়োজন। কারণ এ প্রকল্পে চীনের সম্পৃক্ততার বড় বিরোধীতাকারি হচ্ছে ভারত। সেই সঙ্গে বিআরআইতে যুক্ত হওয়াতে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক। তবে বিআরআইতে বাংলাদেশকে যুক্ত করে চীন কতটুকু সুফল পাবে, তার প্রশ্ন থেকেই যায়। 

প্রধান উপদেষ্টার সফরে চীন সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে মোট ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় ৩০টি চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে, যা প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারিখাতকে বাংলাদেশের উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানোর পর এসেছে।

চীন আরও মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০ কোটি ডলার ঋণ প্রদান, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫ কোটি ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫ কোটি ডলার বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প র সফর

এছাড়াও পড়ুন:

শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস

পুঁজিবাজারে ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস লিমিটেডের পরিচালনার পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সভায় সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তথ্য মতে, লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩০ ডিসেম্বর হাইব্রড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত হবে। আর এ জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর।

২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০৩ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৭৮ টাকা।

এদিকে কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে (৪৩.৪৪) টাকা হয়েছে। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল (১৪.৫০) টাকা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩.২৭ টাকায়।

এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্য সীমা থাকবে না।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ