আইপিএলের এবারের আসরে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল রাজস্থান রয়্যালস। রোববার (৩০ মার্চ) রাতে তারা নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে।

গৌহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজস্থান টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৮২ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই থামে ১৭৬ রানে।

জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান। তুষার দেশপান্ডের করা ১৯তম ওভারে ধোনি ও জাদেজা ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৯ রান তুলে শেষ ওভারে নিয়ে যান ম্যাচ। যেখানে জিততে তাদের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। কিন্তু তারা ওই ওভারে একটি উইকেট হারিয়ে নিতে পারে মাত্র ১৩ রান।

রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাইর রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৪৪ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। রবীন্দ্র জাদেজা ২২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৩২ রান। এছাড়া রাহুল ত্রিপাঠি ২৩, শিভম দুবে ১৮ ও ধোনি করেন ১৬ রান।

তার আগে রাজস্থানের সংগ্রহ ১৮২ পর্যন্ত নিতে ব্যাট হাতে অবদান রাখেন নিতিশ রানা। ওয়ান ডাউনে নামা এই ব্যাটসম্যান মাত্র ৩৬ বলে ১০টি চার ও ৫ ছক্কায় ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ২৮ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। এছাড়া সঞ্জু স্যামসন ২০ ও শিমরন হেটমায়ার করেন ১৯ রান।

বল হাতে চেন্নাইর নূর আহমদ ও মাথিশা পাথিরানা ৪ ওভারে ২৮টি করে রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। খলিল আহমেদ ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন আরও ২টি উইকেট।

অন্যদিকে রাজস্থানের ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে চেন্নাইকে ছুড়ে দেওয়া রানের নাগাল পেতে দেননি। ১টি করে উইকেট নেন জোফরা আর্চার ও সন্দীপ শর্মা।

অনবদ্য ৮১ রানের ইনিংস খেলে হাসারাঙ্গাকে পেছনে ফেলে ম্যাচসেরা হন তিনিশ রানা।

 এই জয়ে ৩ ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের নবম স্থানে অবস্থান নিয়েছে রাজস্থান। সমান ম্যাচ থেকে সমান পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস আছে সপ্তম স্থানে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু

জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।

অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব‌্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।

টস হেরে ব‌্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব‌্যাটে।  এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক‌্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।

এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।

লক্ষ‌্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ‌্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ‌্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২),  গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব‌্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ‌্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ