জুলাই আন্দোলনে নিহত সাগরের পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ
Published: 31st, March 2025 GMT
জুলাই আন্দোলনে নিহত সাগরের পুরানো স্মৃতি মনে করে ঈদের দিন কবরের পাশে বিলাপ করছেন তার মা আম্বিয়া বেগম। সাগরের বাবা নুরুল হক হাওলাদার ছেলের শোকে সকাল থেকে ঘর থেকে বের হননি, কারো সঙ্গে কথাও বলেননি। সাগরের একমাত্র ছোট বোন মরিয়ম খানম ভাইয়ের কথা মনে করে বাড়ির কোণে একা চুপচাপ বসে আছে, কারোর সঙ্গে কথা বলছে না।
সাগরের বৃদ্ধ দাদা আ.
সোমবার ঈদের দিন সকালে উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা গ্রামে সাগরের বাড়ি গিয়ে ওই পরিবারের কারোর পরনে নতুন জামা-কাপড় দেখা যায়নি। এমনকি ঈদ উপলক্ষ্যে সকাল থেকে ছিল না কোনও রান্নাবান্নার আয়োজন।
সেখানে কথা হয় সাগরের মা আম্বিয়া বেগমের সঙ্গে। ছেলের কবরের পাশে কান্নাজরিত কণ্ঠে বিলাপ করতে করতে বলেন, সংসারের খরচ ও বোনের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে দুই মাস আগে সাগর ঢাকায় গিয়েছিল। ওর স্বপ্ন ছিল বিদেশ গিয়ে বেশি টাকা আয় করে বাড়িতে পাকা ভবন তৈরি করবে। ওই ভবনে সবার জন্য আলাদা কক্ষ থাকবে ও বোনের লেখাপড়াসহ মায়ের জন্য কাজের লোক রেখে দেবে।
সাগরের বৃদ্ধ দাদা মজিদ হাওলাদার বলেন, আমাদের পরিবারে কোনও ঈদ নেই, সাগর চলে যাওয়ায় আমাদের জীবন থেকে ঈদ হরিয়ে গেছে।
আজ সাগর বেঁচে থাকলে বন্ধুবান্ধব নিয়ে এসে বলতো দাদা ঈদ সালামি দাও। সাগর ছিল আমার একমাত্র নাতি, আমার কলিজার টুকরা।
সাগরের কাকা মাইনুল হাওলাদার জানান, ঈদকে সামনে রেখে তারা কোনও কেনাকাটা না করলেও তিনদিন আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সাগরের পরিবারকে ঈদসামগ্রী পৌঁছে দেন জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা। সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপনের নির্দেশে সাগরের কবরস্থান পাকাকরণের কাজ চলমান রয়েছে।
সাগরের বাবা নুরুল হক হাওলাদার বাগধা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী। তার এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সাগর ছিল বড়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর দুই মাস আগে সাগর হাওলাদার (১৭) সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার ও বোনের লেখাপড়া খরচ জোগাতে ঢাকায় আসেন। তিনি ধানমন্ডি লেকপাড়ের একটি চায়ের দোকানে ৯ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। ১৯ জুলাই রাতে বাসায় ফেরার পথে আবাহনী মাঠের কর্নারে পুলিশ বক্সের কাছে দু-পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ২৪ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন সাগর হাওলাদার।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ২২৪
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭৭ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।