ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। খুব শিগগির মুক্তি পাবে তার অভিনীত-প্রযোজিত সিনেমা ‘পুরাতন’। আপাতত সিনেমাটির প্রচারের কাজে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। ফলে ভীষণ চিন্তিত এই নায়িকা।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “আপাতত খুব চিন্তায় আছি, রাতে ঘুম আসছে না। সামনেই ‘পুরাতন’ সিনেমার মুক্তি।”

৩৬ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ার ঋতুপর্ণার। অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসেও সিনেমা মুক্তির সময়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ে কপালে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “এখন আরো বেশি চিন্তা হয়। সেটা আমি কাউকে বুঝতে দিই না। আসলে কোন কাজটা হলো আর কোনটা মিস করে গেলাম, এই ভাবতে-ভাবতে দিন-রাত এক হয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু প্রযোজনা বলে নয়, আমি যেখানে অভিনয় করি, সেখানেও একই রকমের টেনশন হয়।”

আরো পড়ুন:

নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখছে মহেশ বাবুর কন্যা?

পরমদা তো ইমরান হাশমি, দারুণ চুমু খায়: কৌশানী

অভিনেত্রী ঠিক কতটা আবেগপ্রবণ? এ প্রশ্নের উত্তরে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “এখনো কোনো ডিসার্ভিং অ্যাওয়ার্ড না পেলে বাড়ি ফিরে কেঁদে ফেলি। কিছুদিন আগেই তেমনটা হয়েছে। ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম। অন্য কেউ অ্যাওয়ার্ডটা পেয়েছেন বলে নয়। তবে আমার মনে হয়েছিল কাজের বিচারে আমি অ্যাওয়ার্ডটা পাওয়ার যোগ্য। কাছের অনেকেই বোঝান, তবে নিজেকে একেবারেই বদলে ফেলতে পারিনি। আমি অন্যদের মতো হতে পারি না। ওটাই আমার দুর্বলতা অথবা আমার শক্তি।”

গত বছরের নভেম্বরে মারা গেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা নন্দিতা। ঋতুপর্ণার পরবর্তী সিনেমার গল্পও গড়ে উঠেছে মা-মেয়েকে কেন্দ্র করে। এ বিষয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, “পুরাতন’ সিনেমার শুটিং করার সময়ে মা বেঁচে ছিলেন। সিনেমাটা মাকে দেখানোর ইচ্ছা ছিল, তা আর হলো কই! হাজার চেষ্টা করলেও আর তো ফিরে পাব না।”

এরপর খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আজও মায়ের ভয়েস নোটগুলো খুলে শুনি। আসলে আমি ভীষণ প্রাচীনপন্থী। আঁকড়ে বাঁচতে ভালোবাসি। অনেক প্রতারিত হয়েছি, কিন্তু নিজের ভিতরটাকে বদলাব কী করে?”

‘পুরাতন’ সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর বাংলা সিনেমায় অভিনয় করলেন বলিউড অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। সিনেমাটির বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এটি পরিচালনা করেছেন সুমন ঘোষ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ