৬৪ দলের বিশ্বকাপের প্রস্তাবে আপত্তি উয়েফা সভাপতির
Published: 4th, April 2025 GMT
বিশ্বকাপের শতবর্ষ উপলক্ষে ২০৩০ সালের আসরটি বিশেষ আয়োজনে পরিণত হতে যাচ্ছে। মূল আয়োজক দেশ পর্তুগাল, স্পেন ও মরক্কোর পাশাপাশি একটি করে ম্যাচ আয়োজন করবে ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজনকারী তিন দেশ- উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে।
তবে এখানেই শেষ নয়। গত ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত ফিফা কাউন্সিল সভায় উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইগনাসিও আলোনসো প্রস্তাব করেন, ২০৩০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা ৪৮ থেকে বাড়িয়ে ৬৪তে উন্নীত করা হোক। ফিফা এখন প্রস্তাবটি বিবেচনার আওতায় আনলেও, ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
সার্বিয়ার বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত উয়েফা কংগ্রেসে এই প্রস্তাব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন বলেন, ‘আপনাদের মতোই আমিও বিস্মিত। আমার দৃষ্টিতে এটি একেবারেই ভালো কোনো ধারণা নয়। এমনকি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দিক থেকেও প্রস্তাবটি অযৌক্তিক। আমি এই প্রস্তাবে কোনোভাবেই সমর্থন দিতে পারি না। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফিফা কাউন্সিল সভার আগে আমাদের কাছে বিষয়টি একেবারেই অজানা ছিল। এটা অত্যন্ত অদ্ভুত!’
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। এই আসর থেকেই বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৪৮টি দল, যা ১৯৯৮ থেকে শুরু করে ২০২২ পর্যন্ত ছিল ৩২টি। আর ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপেই তারা ছিল চ্যাম্পিয়ন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠাবে চীন
চীন জানিয়েছে, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর লক্ষ্য পূরণের পথে ঠিকঠাক রয়েছে। একই সঙ্গে দেশটি মহাকাশ অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য দ্রুত কাজ করছে। এরই মধ্যে চলমান অভিযানের জন্য পরবর্তী নভোচারী দলকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
চীন মানববাহী মহাকাশ কর্মসূচির মুখপাত্র ঝাং জিংবো বলেন, বর্তমানে চাঁদে মানুষ পাঠানোর গবেষণা ও উন্নয়ন কাজের প্রতিটি কর্মসূচি ঠিকঠাক এগিয়ে চলেছে। লং মার্চ ১০ রকেট আর চাঁদে অবতরণের বিশেষ স্যুট ও অনুসন্ধানকারী যান এরই মধ্যে প্রায় প্রস্তুত। ২০৩০ সালের মধ্যে চীন চাঁদে মানুষ পাঠানোর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সুদৃঢ় অবস্থানে কাজ করছে।
চীন মহাকাশ অনুসন্ধান পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের কাজ শেষ করতে দ্রুত কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে নতুন নভোচারী পাঠানো হচ্ছে। একেকটি দল ছয় মাসের জন্য স্টেশনের ভেতরে থেকে গবেষণা পরিচালনা করে। স্টেশনে অন্যদের সঙ্গে যোগ দেওয়া নতুন ক্রু সদস্যরা হলেন ঝাং লু, উ ফেই ও ঝাং হংঝাং।
গত ৩১ অক্টোবর রাত ১১টা ৪৪ মিনিটে জিউকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে তিন নভোচারী যাত্রা করেন। নভোচারী ঝাং লু এর আগে শেনঝু ১৫ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। নভোচারী উ ফেই ও ঝাং হংঝাংয়ের জন্য এটি মহাকাশে প্রথম যাত্রা হবে। এ যাত্রায় নভোচারীরা তাঁদের সঙ্গে দুটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রীসহ চারটি ইঁদুরও নিয়ে যাবেন। তাঁরা প্রাণীর ওপর ওজনহীনতা ও সীমাবদ্ধ পরিবেশে থাকার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করবেন।
চীনের মহাকাশ কর্মসূচির সঙ্গে পিপলস লিবারেশন আর্মির সরাসরি যোগসূত্রের কারণে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বাদ দেওয়ার পর চীন তিয়ানগং স্টেশন তৈরির জন্য কাজ করছে। এই স্টেশন ভবিষ্যতে চাঁদে চীনা নভোচারী ও মানুষের ক্যাম্প তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চীন অনেকটা একাই নিজের মতো করে মহাকাশ অনুসন্ধানে কাজ করছে। অন্যদিকে নাসার সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশকে একসঙ্গে নিয়ে চন্দ্র বিজয়ের কাজ করছে। ২০৩০–এর দশকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ নিয়ে অনেক প্রতিযোগিতামূলক ঘটনা দেখা যাবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।
সূত্র: এনডিটিভি