বেসরকারি সংস্থায় একাধিক পদে চাকরি, সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ১০ হাজার
Published: 8th, April 2025 GMT
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের একটি প্রতিষ্ঠান ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি) জনবল নিয়োগের পুনর্বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বিনিয়োগ কার্যক্রমে দুই ক্যাটাগরির পদে তিনজনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের সরাসরি, কুরিয়ার বা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
১. পদের নাম: উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন)পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর/সমমান ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের সব ক্ষেত্রে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি/বিভাগ থাকতে হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহকারী মহাব্যবস্থাপক/ সহকারী পরিচালক অথবা উপমহাব্যবস্থাপক/উপপরিচালক বা সমমান পদে কমপক্ষে পাঁচ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতাসহ মোট ১৫ বছর কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৫৫ বছর (অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য)।
বেতন: মাসিক মোট বেতন ১,১০,৩৫৫ টাকা
সুযোগ-সুবিধা: প্রতি কর্মদিবসের জন্য ২০০ টাকা হারে লাঞ্চভাতা প্রাপ্য হবেন। এ ছাড়া সংস্থার নিয়মানুযায়ী শিক্ষাসহায়ক ভাতা, উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, বার্ষিক বেতনবৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট), পদোন্নতি ও ইনস্যুরেন্সের সুবিধা রয়েছে। প্রতি মাসে বিধি অনুসারে মুঠোফোন বিল প্রাপ্য হবেন।
২.পদের নাম: সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব, ফিল্ড)
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ/এমবিএস/সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। সিএ/সিএ-সিসি পাস আবশ্যক। শিক্ষাজীবনের সব ক্ষেত্রে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি/বিভাগ থাকতে হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে কো-অর্ডিনেটর/অর্থ ও হিসাবরক্ষণ ম্যানেজার অথবা সমমান পদে কমপক্ষে পাঁচ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতাসহ মোট ১০ বছর কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৪৫ বছর (অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য)।
বেতন: মাসিক মোট বেতন ৮৮,২৩০ টাকা
সুযোগ-সুবিধা: প্রতি কর্মদিবসের জন্য ২০০ টাকা হারে লাঞ্চভাতা প্রাপ্য হবেন। এ ছাড়া সংস্থার নিয়মানুযায়ী শিক্ষাসহায়ক ভাতা, উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, বার্ষিক বেতনবৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট), পদোন্নতি ও ইনস্যুরেন্সের সুবিধা রয়েছে। প্রতি মাসে বিধি অনুসারে মুঠোফোন বিল প্রাপ্য হবেন।
আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সনদের সত্যায়িত ফটোকপি, দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, দুজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির রেফারেন্স, ই-মেইল ও মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ করে দরখাস্তসহ পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত সরাসরি, কুরিয়ার বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে। খামের ওপর পদের নাম উল্লেখ করতে হবে। এই লিংকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এ–সংক্রান্ত ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যাঁরা এর আগে আবেদন করেছেন, তাঁদের আবেদন বিবেচনাধীন বিধায় পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত), ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি), প্রধান কার্যালয়, বাড়ি নং-৮৫২, সড়ক নম্বর-১৩, বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি, আদাবর, ঢাকা-১২০৭।
আবেদনের শেষ সময়: ১৫ এপ্রিল ২০২৫।
আরও পড়ুনরুরাল পাওয়ার কোম্পানিতে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ৪৯ হাজার, আছে সার্বক্ষণিক গাড়ি০৭ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর ক জ কর র প র প য হব ন য গ যত সমম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’