স্ট্রিং তত্ত্বের প্রমাণ মিলেছে কি
Published: 8th, April 2025 GMT
পদার্থবিজ্ঞানের দুনিয়ায় আলোচিত এক মডেলের নাম স্ট্রিং তত্ত্ব। স্ট্রিং তত্ত্বের ধারণা প্রথম ১৯৬০ ও ১৯৭০–এর দশকে প্রকাশ করা হয়। এত দিন পর এবার স্ট্রিং তত্ত্বকে সমর্থন করা পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। স্ট্রিং তত্ত্বকে সমর্থন করা একটি নতুন স্থান-কালের মডেলও তৈরি করেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, স্ট্রিং তত্ত্বকে সমর্থন করা এই তত্ত্ব পদার্থবিজ্ঞানের এমন একটি অনুমানমূলক কাঠামো, যেখানে কোয়ান্টাম মেকানিকস ও সাধারণ আপেক্ষিকতাকে যুক্ত করে। তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ক্ষুদ্রতম স্কেলে স্থান-কাল গভীরভাবে কোয়ান্টাম উপায়ে আচরণ করতে পারে বলে জানা গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডার্ক এনার্জি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যদি তাদের অনুমান সঠিক প্রমাণিত হয়, তবে কসমোলজির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন কোনো মডেলের প্রয়োজন হতে পারে।
এই কোয়ান্টাম স্থান-কালের পরিণতি দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রিং তত্ত্বের মাধ্যমে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। এই তত্ত্বকে ডার্ক এনার্জির সঙ্গে যুক্ত করা হয়। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সম্প্রসারণ হ্রাসের হার ডার্ক এনার্জি স্পেকট্রোস্কোপিক ইনস্ট্রুমেন্ট নামের যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী মাইকেল কাভিক বলেন, ‘আমাদের কাজের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যাচ্ছে, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের মাধ্যমে সংগৃহীত ফলাফল স্ট্রিং তত্ত্বকে সমর্থন করছে। প্রথমবারের মতো কোনো পর্যবেক্ষণমূলক এমন প্রমাণে স্ট্রিং তত্ত্ব ও কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটির মধ্যে সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে। নতুন তথ্য কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি ও প্রকৃতির গতিশীল বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি গভীর সংযোগের ইঙ্গিত দেয়, যা ধ্রুবক বলে মনে করা হতো। আমাদের ধারণা, আমাদের মহাবিশ্বের মৌলিক সংজ্ঞা প্রদানকারী বৈশিষ্ট্য স্থির, আসলে বাস্তবে তা স্থির নয়।’
স্ট্রিং তত্ত্ব অনুসারে, ইলেকট্রন বা কোয়ার্কের মতো কণা, যা শূন্যমাত্রিক বিন্দু, আসলে ক্ষুদ্র, কম্পনশীল স্ট্রিং। যদিও গাণিতিকভাবে স্ট্রিং তত্ত্বের কার্যকারিতার জন্য সময়সহ চারটি স্থান-কালের মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রার প্রয়োজন হয়। এই তত্ত্ব অনুসারে ১০ বা ১১টি মাত্রার কথা বলা হয়। অন্যদিকে ডার্ক এনার্জি অদৃশ্য ও বস্তু বা আলোর সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে না। আর এমন শক্তি না–ও থাকতে পারে। দীর্ঘকাল ধরে বিজ্ঞানীরা ইনফ্লেশনারি বা স্ফীতিমূলক মহাবিশ্ব তত্ত্বে বিশ্বাস করেছেন। এ ধারণা অনুসারে, প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি বছর আগে, বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের শুরুতে ডার্ক এনার্জি নামের পরিচিত রহস্যময় শক্তি মহাবিশ্বের সম্প্রসারণকে ত্বরান্বিত করতে শুরু করে।
সূত্র: এনডিটিভি
https://www.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তত ত ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএইচএস মোটরস দেশে আনল চীনের ‘জিএসি’ ব্র্যান্ডের গাড়ি
ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড তার পোর্টফোলিওতে যুক্ত করেছে আরেকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড চীনের ‘জিএসি’। জিএসি চীনের পঞ্চম বৃহত্তম অটোমোবাইল নির্মাতা। নিজস্ব গাড়ির পাশাপাশি জিএসি চীনে হোন্ডা এবং টয়োটা গাড়ির যৌথ উদ্যোগ অংশীদার।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ঢাকা মোটর শোতে এ খ্যাতনামা ব্র্যান্ড উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশে জিএসির যে মডেলগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে, সেগুলো হলো— কমপ্যাক্ট এসইউভি জিএসি EMKOO, ছোট ও স্পোর্টি এসইউভি জিএসি EMZOOM এবং বিলাসবহুল এমপিভি জিএসি E9।
বাংলাদেশের বাজারে জিএসি উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের অটোমোবাইল শিল্পকে আরো শক্তিশালী করল ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভবিষ্যতে ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড জিএসির ইভি মডেল যুক্ত করে তাদের মডেল লাইনআপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, ডিএইচএস খুব শিগগিরই দেশে জিএসি গাড়ির অ্যাসেম্বলি শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
অনুষ্ঠানে ডিএইচএস মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান জামান খান, জেনারেল ম্যানেজার আরমান রশীদ ও ফারহান সামাদ, জিএসির কান্ট্রি ম্যানেজার ড্যানিয়েল ঝাউ, রেমন ওয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রফিক