গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
Published: 8th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১২টায় চাষাড়া শহীদ মিনারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ফারহান।
এসময় সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আজকে আমরা এমন একটি সময় এখানে উপস্থিত হয়েছি যখন আমাদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস যেখানে নবীজি (সাঃ) নামাজ আদায় করেছেন, যা মুসলমানদের জন্য সর্বোচ্চ পবিত্র ভূমি।
আজকে সেখানে বর্বর ইহুদিরা পশ্চিমা বিশ্বের ষড়যন্ত্রের আলোকে মুসলিম ভূমিতে এসে দখলদারিত্ব করছে। ইজরায়েলি সন্ত্রাসীদের হাতে ফিলিস্তিনের লাখো মানুষ শহীদ হয়েছে। মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই অনেক কিছু করার রয়েছে। ইজরায়েলিদের যেসকল পণ্য রয়েছে সেগুলো আমরা বয়কট করবো।
এসময় নেতৃবৃন্দ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিচার দাবী করেন। এর পূর্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে চাষাড়া শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক, সহ-সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম, সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সাজিদ, ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা আবীর, ৬নং ওয়ার্ড নেতা আহাদ, ১০নং ওয়ার্ডের রায়হান, তোলারাম কলেজ শাখার নেতা কামরুল হাসান, আরিয়ান, নারায়ণগঞ্জ কলেজ নেতা আবীর সহ সাব্বির, রাব্বী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রাখাইনে করিডর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হেফাজতের
জাতিসংঘের অনুরোধে শর্ত সাপেক্ষে মিয়ানমারের বেসামরিক লোকজনের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে রাখাইনে করিডর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক এ কথা বলেন। আগামী ৩ মে চার দাবিতে হেফাজতে ইসলাম মহাসমাবেশ করবে। এর সার্বিক প্রস্তুতি জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশকে ব্যবহার করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে, দেশপ্রেমিক শক্তি হিসেবে হেফাজতে ইসলাম কোনোভাবেই এটি সমর্থন করে না। এর নিন্দা জানায়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাব।’
সংবাদ সম্মেলনে মামুনুল হক আরও বলেন, হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে সবাই উদ্বিগ্ন।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের চার দফা দাবি তুলে ধরেন মামুনুল হক। এগুলো হলো নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিল, সংবিধানে বহুত্ববাদের পরিবর্তে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, ফ্যাসিবাদের আমলে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, শাপলা চত্বরসহ সব গণহত্যার বিচার এবং ফিলিস্তিন এবং ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘যে কমিশন কোরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে সুপারিশ করতে পারে, বাংলাদেশের মানুষ সেই কমিশন মানে না। সংবিধানে বহুত্ববাদ নয়, আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হেফাজত নেতা ও খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনরাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের২৭ এপ্রিল ২০২৫