ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে আদালতে প্রিন্স হ্যারি
Published: 9th, April 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের আদালতে হাজিরা দিয়েছেন দেশটির রাজপরিবার থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেওয়া সদস্য প্রিন্স হ্যারি। ২০২০ সালে সব ধরনের রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মারকেল।
যুক্তরাজ্য ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন এই তারকা দম্পতি। সেই সময় থেকেই হ্যারি যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের সদস্যদের সব সুযোগ-সুবিধা পান না। এ নিয়েই দীর্ঘদিন চলছে আইনি লড়াই।
এএফপি জানায়, গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই মামলা সূত্রে আপিল আদালতে হাজিরা দেন হ্যারি। রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর ব্রিটেনে অবস্থানকালে তাঁর জন্য নির্ধারিত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার মাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন হ্যারি।
সেখানে যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের সদস্যদের সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন তিনি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন হ্যারি। সেটা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে চলছে আইনি লড়াই। সে সময় আদালতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তিনজন বিচারক ছিলেন। প্রচুর সাংবাদিকও ছিলেন তখন। পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তিনি আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হ্যারি। বিবিসি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনা ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছে: দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছে। চোরাগোপ্তা হামলার পরিকল্পনা করছে।”
জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতীকী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “তারা যদি আবার ষড়যন্ত্র করে, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ আর কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। সম্মিলিতভাবে আবার তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ নির্বাচনের প্রত্যাশায় দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে অনেক তরুণ প্রাণ ঝরে গেছে, লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় মানুষ নির্বাসিত জীবনযাপন করছে।”
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “যদি নির্বাচনের ঘোষণা আসে, তাহলে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে।”
তিনি বলেন, “আগামী দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসবেন এবং জনগণের ওপর নির্ভর করে দেশকে এগিয়ে নেবেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়। আরো বক্তব্য রাখেন—বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, প্রিন্সিপাল শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক,মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দলের নেতা আব্দুর রাজী, ছাত্রদলের নেতা শামীম আখন্দ প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/রফিক