কিশোর-কিশোরীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে ‘টিন অ্যাকাউন্ট’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে মেটা। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় নতুন এই অ্যাকাউন্ট চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

মেটার তথ্যমতে, ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য চালু হতে যাওয়া টিন অ্যাকাউন্টে অনুপযুক্ত কনটেন্ট এবং অচেনা ব্যক্তিদের বার্তা পাওয়ার ঝুঁকি কম থাকবে। অ্যাকাউন্টের বিল্ট-ইন নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চাইলে অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হবে। এর ফলে শুধু ফেসবুক ফ্রেন্ডের তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা কিশোর কিশোরীদের স্টোরিতে প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য করার পাশাপাশি ট্যাগ ও মেনশন করতে পারবেন। এ ছাড়া শুধু ফলো করা অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো বার্তা দেখা যাবে।

আরও পড়ুনফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের অনলাইন তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ করবেন যেভাবে০৬ এপ্রিল ২০২৫

মেটা জানিয়েছে, টিন অ্যাকাউন্টে দিনে এক ঘণ্টা ফেসবুক ও মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহারের পর কিশোর-কিশোরীদের বিরতি নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তা–ই নয়, রাতে কোয়ায়েট মোড স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে। ফলে কিশোর-কিশোরীদের অ্যাপ থেকে বিরতি নেওয়া নিশ্চিত হবে।

আরও পড়ুনফেসবুক প্রোফাইল ও পোস্টে গান যোগ করবেন যেভাবে১৪ মার্চ ২০২৫

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইনস্টাগ্রামে একই ধরনের সুবিধা চালু করে মেটা। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, ইনস্টাগ্রামে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ৪০ লাখ কিশোর-কিশোরী টিন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছে। ইনস্টাগ্রামের নিয়ম অনুযায়ী, ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীরা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া লাইভ করতে পারে না।

সূত্র: টেক ক্র্যাঞ্চ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনস ট গ র ম ফ সব ক ও ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ