কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলস এফসির কাছে ১-০ গোলে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল ইন্টার মায়ামি। তবে দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ালেন লিওনেল মেসিরা। শুরুতে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টাইন মহাতারকার জাদুতে ৩-১ গোলের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে মায়ামি।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে নবম মিনিটেই অ্যারন লংয়ের গোলে এগিয়ে যায় লস অ্যাঞ্জেলস। তবে ৩৫ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মেসি। প্রথমার্ধে সমতা ফিরে আসার পর দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি আধিপত্য দেখায় মায়ামি। ৬১ মিনিটে অ্যালেনের চিপ করা বল থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোল করেন রেদোনদো। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ম্যাচে সমতা ফিরে এলেও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে এগিয়ে ছিল এলএএফসি। ৬৭ মিনিটে সুয়ারেজের করা একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।

শেষ মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মেসি। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করেন তিনি। ম্যাচের শেষ দিকে গোলরক্ষক অস্কার করেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ, যা মায়ামির জয় নিশ্চিত করে।

এই জয়ের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইন্টার মায়ামি। তাদের প্রতিপক্ষ হতে পারে মেক্সিকান ক্লাব পুমাস অথবা কানাডিয়ান ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস। মেসির দুর্দান্ত ফর্মে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে এখন শেষ চারে চোখ রাখছে মায়ামি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য ম

এছাড়াও পড়ুন:

তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য বললেন, ‘কালিমা পড়ে বিয়ে করেছি’

রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর মতিহার থানায় ছিলেন।

ওই কনস্টেবলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। যে নারীর ঘরে তাকে পাওয়া গেছে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

কনস্টেবল নাসির দাবি করেন, আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ওই নারীকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।

মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘‘তালাকপ্রাপ্ত নারী তার মায়ের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানে রাতে আমাদের কনস্টেবল যান। তখন স্থানীয়রা দুজনকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। আমরা গিয়ে তাদের থানায় এনেছি।’’

ওসি বলেন, ‘‘কনস্টেবল দাবি করেছেন, তিনি কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। আগের স্ত্রীও বিষয়টি অবগত। তবে, বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই। এখন তিনি রেজিস্ট্রি করে নিতে চাচ্ছেন। দুজনে থানায় আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

‘‘এক্ষেত্রে, কনস্টেবল নাসিরের আগের স্ত্রীর কোনো আপত্তি থাকলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’’- যোগ করেন ওসি আবদুল মালেক।

রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নাই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ