ছয় বছর পর আগামী ২৩-৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানে হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ান গেমস (এসএ গেমস)। ইসলামাবাদ, লাহোর ও ফয়সালাবাদে অনুষ্ঠেয় গেমসে ২৮টি ডিসিপ্লিন থাকছে, যা এসএ গেমসের জন্য রেকর্ডই। রোইং, বিলিয়ার্ড ও স্নুকার এবং ট্রায়াথলন বাদে আপাতত এর ২৫টিতে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ( বিওএ)।

ট্রায়াথলনের ফেডারেশন নেই বাংলাদেশ। বাকি দুটির ফেডারেশন থাকলেও কার্যক্রম কম। তবে পর্যাপ্ত বাজেট পেলে এই দুটি ডিসিপ্লিনও পরে বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে বিওএ সূত্র।

২৫টির মধ্যে ব্যক্তিগত ইভেন্ট আছে ১৭টি ডিসিপ্লিনে—অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, আর্চারি, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, স্কোয়াশ, বক্সিং, ফেন্সিং, গলফ, জুডো, কারাতে, শুটিং, তায়কোয়ান্দো, টেনিস, ভারোত্তোলন, কুস্তি ও উশু। এই ১৭টি ফেডারেশনের সঙ্গেই গতকাল সভা করেছে বিওএ। বাকি আটটি দলীয় খেলার ফেডারেশন ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, কাবাডি, হ্যান্ডবল, ভলিবল, বাস্কেটবল ও রাগবির সঙ্গে তারা বসবে ১৩ এপ্রিল।

গেমস নিয়ে আজ প্রথম সভা হয়েছে। ফেডারেশনগুলোর চাওয়া আমরা জানলাম। আমরা হোমওয়ার্ক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব ফেডারেশনগুলোকেব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) এ বি এম শেফাউল কবীর

বিওএ ভবনে আয়োজিত আজকের সভায় ফেডারেশনগুলোর কাছে গেমস নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ও চাহিদা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। অনেকে বিদেশে অনুশীলন করার সুযোগ চেয়েছে, চেয়েছে দেশে অনুশীলন ভেন্যু। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় কাজে বেশ কিছু ভেন্যু ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ভেন্যু নিয়ে দোলাচলে আছে কিছু ফেডারেশন। আবার কিছু ভেন্যু চেয়েছে একাধিক ফেডারেশন। অবশ্য একটা জায়গায় সব ফেডারেশনের চাওয়া একবিন্দুতে—সবাই চায় বিদেশি কোচ।

আরও পড়ুনক্রিকেটে ছয় দলই, সংখ্যায় ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন নারী অ্যাথলেটরা৩ ঘণ্টা আগে

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম যেমন সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সপ্তাহ দুয়েক আগেই আমরা বিওএকে চিঠি দিয়ে স্প্রিন্ট ও জাম্পের জন্য দুজন কোচ চেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মান কোচ চাই আমরা। সেটা সম্ভব না হলে চীনা কোচ চেয়েছি।’

সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁদের প্রথম চাওয়াই হলো ভালো একজন বিদেশি কোচ। নেদারল্যান্ডস ও মিসরের দুজন কোচের সঙ্গে কথা চলছে। বিওএ না দিলে ফেডারেশন নিজেরাই কোচ আনবে। আর্চারি ফেডারেশনের নবাগত সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ কম্পাউন্ড ইভেন্টের জন্য বিদেশি কোচ চেয়েছেন। ইভেন্টটি আগামী অলিম্পিক গেমসেও যোগ হয়েছে।
ফেডারেশনগুলোর চাওয়া নিয়ে ২৩ এপ্রিল আলোচনায় বসবে বিওএর নির্বাহী কমিটি।

বিওএর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ বি এম শেফাউল কবীর বলেছেন, ‘এসএ গেমসে আমরা ২৫টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেব। গেমস নিয়ে আজ প্রথম সভা হয়েছে। ফেডারেশনগুলোর চাওয়া আমরা জানলাম। আমরা হোমওয়ার্ক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব ফেডারেশনগুলোকে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ড র শনগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর ইউক্রেন–যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি সই

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর দেশ দুটি একটি চুক্তিতে সই করেছে। এর ফলে ওয়াশিংটন কিয়েভের মূল্যবান দুর্লভ খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তার পুনর্গঠনে তহবিল জোগান দেবে।

গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ চুক্তি সই হয়। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোর দরকষাকষি করে দুই দেশ। চুক্তি সই হওয়ার ব্যাপারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছু অনিশ্চয়তা থাকলেও অবশেষে এটি সম্পন্ন হয়।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’ প্রতিষ্ঠা রাশিয়ার প্রতি একটি বার্তা যে, ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদে এক স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন গড়ার শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

স্কট বেসেন্ট আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার এ ভাবনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের; যা একটি টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতিই প্রতিফলিত করে।’

‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না’, বলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।

ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।

ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন পুনর্গঠন তহবিলে’ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা সামরিক সহায়তার মাধ্যমে অবদান রাখবে এবং কিয়েভ তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে পাওয়া রাজস্বের ৫০ শতাংশ তহবিলে দেবে।

স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না।স্কট বেসেন্ট, মার্কিন অর্থমন্ত্রী

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ প্রথম ১০ বছর শুধু ইউক্রেনে বিনিয়োগ করা হবে, এরপর ‘লাভ অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হতে পারে’। তহবিলে দুপক্ষের সমান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ চুক্তি শুধু ভবিষ্যতের মার্কিন সামরিক সহায়তায় নজর দেব, অতীতের সহায়তা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো বলেন, ‘আমরা শুধু বিনিয়োগই পেতে যাচ্ছি না; বরং এমন একটি কৌশলগত অংশীদারকেও পাচ্ছি, যারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে সহায়তা করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার ফাঁকে এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল ভ্যাটিকান সিটিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ