সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ‘লেখক বন্ধু উৎসব ২০২৫’।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সভাকক্ষে উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাতীয় পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক।

উৎসবে সারা দেশের বিভিন্ন বন্ধুসভার লেখক বন্ধুরা অংশ নিয়েছেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্ষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পৌলমী অদিতি, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক অনিক সরকার ও দপ্তর সম্পাদক মেঘা খেতান। তাঁদের সঙ্গে সবাই কণ্ঠ মেলান।

স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সভাপতি মাহমুদা মুহসিনা বুশরা, লেখক বন্ধু উৎসব ২০২৫-এর আহ্বায়ক সৌমেন্দ্র গোস্বামী, জাতীয় পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিক।

এই লেখক বন্ধুদের লেখার মান উন্নয়ন এবং লেখালেখিতে আরও উৎসাহিত করতে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে লেখক বন্ধু উৎসব। বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের উদ্যোগে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে।

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, ‘লেখক হতে চাইলে বই পড়ার বিকল্প নেই। ভালো লেখক হতে হলে প্রচুর বই পড়তে হবে । লেখালেখির কাজটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে হবে, লিখে যেতে হবে।’

সভাপতি জাফর সাদিক বলেন, ‘অনেক প্রতীক্ষার পর এ বছর আবার বন্ধু উৎসব আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। অংশগ্রহণকারী সব বন্ধু, আলোচক, প্রকাশক ও অন্যান্য অতিথির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সত্যিই অসাধারণ। আমরা বিশ্বাস করি, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে একদিন দেশসেরা লেখক তৈরি হবে। বন্ধুরাই সাহিত্যাঙ্গনে রাজ করবে।’

এই আয়োজন বন্ধুদের সাহিত্যচর্চায় আগ্রহ বাড়াবে বলে বিশ্বাস করেন সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিক। তিনি বলেন, ‘এ উৎসব প্রতিটি লেখক বন্ধুর জন্য হোক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। নতুন লেখকেরা তাঁদের চিন্তা, কল্পনা ও অভিজ্ঞতার প্রকাশ ঘটাবে; গড়বে পাঠক-লেখকের আন্তরিক সংযোগ।’

সারা দেশের বন্ধুসভার অসংখ্য বন্ধু নিয়মিত লেখালেখি করেন। অনেকের প্রকাশিত বই রয়েছে। কেউ কেউ বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। এই লেখক বন্ধুদের লেখার মান উন্নয়ন এবং লেখালেখিতে আরও উৎসাহিত করতে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে লেখক বন্ধু উৎসব। বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের উদ্যোগে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে।

অনেক প্রতীক্ষার পর এ বছর আবার বন্ধু উৎসব আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।সভাপতি জাফর সাদিক, বন্ধুসভা

লেখালেখির বিষয়ভিত্তিক কর্মশালা ছাড়াও উৎসবে উন্মুক্ত আলোচনা, লেখক বন্ধু আড্ডা, লেখক-প্রকাশক আড্ডা ও সেরা পাঁচ লেখক বন্ধু সম্মাননাসহ নানা চমক থাকছে। আলোচক হিসেবে রয়েছেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি কামরুজ্জামান কামু, কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল, সুবর্ণ প্রকাশনীর প্রকাশক শাহরিন হক, নৈঋতা ক্যাফের প্রকাশনা উপদেষ্টা রাহেল রাজিব, স্বরে অ প্রকাশনীর প্রকাশক আবু বকর সিদ্দিক রাজু এবং প্রথম আলোর অন্য আলো জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক (সাহিত্য) ফিরোজ এহতেশাম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ফর স দ ক প রথম আল র প রক শ এ উৎসব র বন ধ ক বন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চলছে তারুণ্যের উৎসব

নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুণদের অংশগ্রহণে উদ্দীপ্ত হয়ে চলমান ‘তারুণ্যের উৎসব’-এর সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠক শেষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।

এর আগে, যুব উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় পর্যায়ে উৎসবের বাস্তবায়ন বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উৎসব বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত ২৫টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বঙ্গীয় বদ্বীপের মানুষের সংকটকালে তুরস্ক পাশে দাঁড়িয়েছে: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

‘শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তীর আঁকা পোস্টারে ফুটে উঠবে জুলাইয়ের অনিবার্যতা’

সভায় উপদেষ্টা উৎসবের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং এর বিস্তৃত ও সফল বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

তিনি জানান, এই উৎসবকে আন্তর্জাতিক পরিসরে ছড়িয়ে দিতে সার্কসহ অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠনকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ‘গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট’ আয়োজনেরও নীতিগত সিদ্ধান্ত  হয়।

২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এই উৎসব দেশজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপিত হচ্ছে। তরুণদের মধ্যে ঐক্য, সহযোগিতা এবং আত্মকর্মসংস্থানের অনুপ্রেরণা জাগাতে উৎসবটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রথম পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন ৭১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৩ জন তরুণ-তরুণী, যার মধ্যে ২৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭১ জন নারী।

এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৩ হাজার ৭১১টি ইভেন্ট, যার মধ্যে নারীদের জন্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্ট ছিল ২ হাজার ৯৩১টি। ক্রীড়া পরিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়ন থেকে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টও আয়োজন করা হয়েছে।

‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি বিশেষ উদ্যোগ, যা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং ২৬টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। জাতীয় ঐক্য, তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা এবং স্থানীয় উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য।

উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও অংশগ্রহণে আগ্রহীদের https://youth.cao.gov.bd এই লিঙ্কে ভিজিট করতে বলা হয়েছে।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিএসসিতে আনন্দ-আড্ডায় সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থীরা
  • ঈশ্বরদীতে বর্ষা উৎসবে দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকরা
  • ‘উৎসব’–এর টিকিট নেই...
  • ধানমন্ডিতে প্রাণের আম উৎসব শুরু, দ্বিতীয় দিনের আয়োজন আজ
  • টি–টোয়েন্টিতেও হার দিয়েই শুরু বাংলাদেশের
  • ৬ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি
  • সাত দিন ‘অন্যদিন…’
  • চর্যাগানের সুরে আদি সংস্কৃতির দ্যোতনা
  • নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চলছে তারুণ্যের উৎসব