‘ভালো লেখক হতে হলে প্রচুর বই পড়তে হবে’
Published: 11th, July 2025 GMT
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ‘লেখক বন্ধু উৎসব ২০২৫’।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সভাকক্ষে উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাতীয় পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক।
উৎসবে সারা দেশের বিভিন্ন বন্ধুসভার লেখক বন্ধুরা অংশ নিয়েছেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্ষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পৌলমী অদিতি, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক অনিক সরকার ও দপ্তর সম্পাদক মেঘা খেতান। তাঁদের সঙ্গে সবাই কণ্ঠ মেলান।
স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সভাপতি মাহমুদা মুহসিনা বুশরা, লেখক বন্ধু উৎসব ২০২৫-এর আহ্বায়ক সৌমেন্দ্র গোস্বামী, জাতীয় পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিক।
এই লেখক বন্ধুদের লেখার মান উন্নয়ন এবং লেখালেখিতে আরও উৎসাহিত করতে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে লেখক বন্ধু উৎসব। বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের উদ্যোগে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে।প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, ‘লেখক হতে চাইলে বই পড়ার বিকল্প নেই। ভালো লেখক হতে হলে প্রচুর বই পড়তে হবে । লেখালেখির কাজটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে হবে, লিখে যেতে হবে।’
সভাপতি জাফর সাদিক বলেন, ‘অনেক প্রতীক্ষার পর এ বছর আবার বন্ধু উৎসব আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। অংশগ্রহণকারী সব বন্ধু, আলোচক, প্রকাশক ও অন্যান্য অতিথির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সত্যিই অসাধারণ। আমরা বিশ্বাস করি, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে একদিন দেশসেরা লেখক তৈরি হবে। বন্ধুরাই সাহিত্যাঙ্গনে রাজ করবে।’
এই আয়োজন বন্ধুদের সাহিত্যচর্চায় আগ্রহ বাড়াবে বলে বিশ্বাস করেন সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিক। তিনি বলেন, ‘এ উৎসব প্রতিটি লেখক বন্ধুর জন্য হোক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। নতুন লেখকেরা তাঁদের চিন্তা, কল্পনা ও অভিজ্ঞতার প্রকাশ ঘটাবে; গড়বে পাঠক-লেখকের আন্তরিক সংযোগ।’
সারা দেশের বন্ধুসভার অসংখ্য বন্ধু নিয়মিত লেখালেখি করেন। অনেকের প্রকাশিত বই রয়েছে। কেউ কেউ বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। এই লেখক বন্ধুদের লেখার মান উন্নয়ন এবং লেখালেখিতে আরও উৎসাহিত করতে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে লেখক বন্ধু উৎসব। বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের উদ্যোগে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে।
অনেক প্রতীক্ষার পর এ বছর আবার বন্ধু উৎসব আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।সভাপতি জাফর সাদিক, বন্ধুসভালেখালেখির বিষয়ভিত্তিক কর্মশালা ছাড়াও উৎসবে উন্মুক্ত আলোচনা, লেখক বন্ধু আড্ডা, লেখক-প্রকাশক আড্ডা ও সেরা পাঁচ লেখক বন্ধু সম্মাননাসহ নানা চমক থাকছে। আলোচক হিসেবে রয়েছেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি কামরুজ্জামান কামু, কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল, সুবর্ণ প্রকাশনীর প্রকাশক শাহরিন হক, নৈঋতা ক্যাফের প্রকাশনা উপদেষ্টা রাহেল রাজিব, স্বরে অ প্রকাশনীর প্রকাশক আবু বকর সিদ্দিক রাজু এবং প্রথম আলোর অন্য আলো জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক (সাহিত্য) ফিরোজ এহতেশাম।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ফর স দ ক প রথম আল র প রক শ এ উৎসব র বন ধ ক বন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব-পার্বণে ডিজিটাল লেনদেন বেশি
বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমে যে পরিমাণ লেনদেন হচ্ছে, তার আড়াই গুণ বেশি হয় নগদ টাকায়। তবে উৎসবে-পার্বণে ডিজিটাল লেনদেন বেশি হচ্ছে। দেশের লেনদেনব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ পেমেন্ট সিস্টেমস রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে নগদ ও ডিজিটাল মাধ্যমে সব মিলিয়ে ২৬ লাখ ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা।
২০২৩ সালে ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন হয় ৩৬ কোটি ৬৭ লাখ বার, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ৪০ কোটি ৩১ লাখ বার। এই মাধ্যমে ২০২৩ সালে লেনদেন হয় ৭ লাখ ৫১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ২০২৩ সালে নগদে লেনদেন হয় ৩৪ কোটি ৬২ লাখ বার, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ৪৫ কোটি ৪৯ লাখ বার। ২০২৩ সালে নগদে লেনদেন হয় ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকার, যা গত বছর বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
নগদ লেনদেন হলো চেক ও ভাউচারের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা। আর ডিজিটাল লেনদেন হলো স্বয়ংক্রিয় চেক নিষ্পত্তি ব্যবস্থা, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের মাধ্যমে লেনদেন, আন্তব্যাংক অর্থ স্থানান্তর ব্যবস্থা, বিনিময় প্ল্যাটফর্ম ও মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস), কিউআর কোডের মাধ্যম লেনদেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষ ছোট ও মাঝারি মূল্যের অর্থ প্রদানে ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করলেও বড় অঙ্কের লেনদেনের জন্য এখনো নগদ, চেক ও কাউন্টার পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। যদিও ২০২৪ সালের এপ্রিল ও জুন মাসে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ বেশি ছিল, মোট লেনদেনের ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত। ওই সময়ে ঈদ উৎসব, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও বিভিন্ন বিক্রয় ক্যাম্পেইনের কারণে লেনদেন বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে ডিসেম্বর মাসে ডিজিটাল লেনদেনের হিস্যা কমে ৪৭ শতাংশে। মূলত বছর শেষে নগদ উত্তোলন ও হিসাব নিষ্পত্তির কারণে নগদ লেনদেন বেড়ে যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ অটোমেটেড চেক প্রসেসিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ ৪২ হাজার চেক নিষ্পত্তি হয়েছে, যার মোট মূল্য প্রায় ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৪০ লাখ বার লেনদেন সম্পন্ন হয়, যার মোট মূল্য ২৭ লাখ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আর্থিক হিসাবে ইন্টার ব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার লেনদেন ৮০ শতাংশ। বিনিময় প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারও গত বছরের জুলাইয়ের পর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) খাতে ২০২৪ সালে ৭৩০ কোটি বার লেনদেন হয়, যার মূল্য ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাশলেস বা নগদবিহীন বাংলাদেশ উদ্যোগের আওতায় বাংলা কিউআর লেনদেনে ১০৪ শতাংশ বা টাকার হিসাবে ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ও ডিজিটাল হাটের ব্যবহার শুরু হয়েছে। পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম অ্যাক্ট, ২০২৪ প্রবর্তনের মাধ্যমে পেমেন্ট রেগুলেশনের আইনি ভিত্তি আরও দৃঢ় হয়েছে।