প্রাণ গ্রুপের আয়োজনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে রবীন্দ্রসরোবরে তিন দিনব্যাপী ম্যাঙ্গো ফেস্টিভ্যাল বা আম উৎসব শুরু হয়েছে। এতে দেশের সব ধরনের আম প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোরসহ আমের জন্য বিখ্যাত অঞ্চলের খামারিরা সরাসরি তাঁদের আম নিয়ে নিজেরাই হাজির হয়েছেন তিন দিনের এই উৎসবে। প্রাণ–আরএফএল গ্রুপের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এ উৎসব শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। উৎসবের আয়োজকেরা জানান, তরুণ প্রজন্মের কাছে বিভিন্ন ধরনের আমের উৎপত্তি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমের প্রদর্শনীর পাশাপাশি এই আয়োজনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খেলা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে এই উৎসব। সবার জন্য উন্মুক্ত এই আয়োজনে অংশ নিতে পারছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণ গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড বা এমসিএলের বিপণন বিভাগের প্রধান মাহমুদুল হাসান, সহকারী ব্র্যান্ড ম্যানেজার ওমর বিন জুবায়ের এবং প্রাণ বেভারেজের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজিবুল হক তুষার।

তিন দিনের এই উৎসব আয়োজন উপলক্ষে গত বুধবার রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে আয়োজনটির প্রসঙ্গে প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইলিয়াছ মৃধা বলেন, ‘প্রাণ গ্রুপ দেশে আমের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। আমরা আমের মৌসুমে দেশের চুক্তিভিত্তিক প্রায় ১০ হাজার কৃষকের কাছ থেকে আম সংগ্রহের পর সেগুলো থেকে জুস ও ড্রিংকস তৈরি করে সারা বছর ভোক্তার সামনে নিয়ে আসি। আমরা এ মেলার মাধ্যমে আমের জন্য বিখ্যাত কয়েকটি জেলার চাষিদের বিভিন্ন ধরনের আম প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছি। যেন তাঁরা তরুণ প্রজন্মের কাছে তাঁদের আমের স্বাদ, ঐতিহ্য ও ইতিহাস তুলে ধরতে পারেন।’

ইলিয়াস মৃধা আরও বলেন, ‘দেশে আম থেকে উৎপাদিত পণ্যের বাজার এখন প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। বিদেশে আমাদের আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ জন্য দরকার আমাদের আমের ব্র্যান্ডিং। প্রাণ দেশে উৎপাদিত আম থেকে বিভিন্ন ধরনের জুস, ড্রিংকস, ম্যাঙ্গো বার ও আচার উৎপাদন করে দেশের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় ১৪৮টি দেশে রপ্তানি করছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ভ ন ন ধরন র এই উৎসব র আম র দ র আম

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভালো লেখক হতে হলে প্রচুর বই পড়তে হবে’

সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ‘লেখক বন্ধু উৎসব ২০২৫’।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সভাকক্ষে উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাতীয় পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক।

উৎসবে সারা দেশের বিভিন্ন বন্ধুসভার লেখক বন্ধুরা অংশ নিয়েছেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্ষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পৌলমী অদিতি, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক অনিক সরকার ও দপ্তর সম্পাদক মেঘা খেতান। তাঁদের সঙ্গে সবাই কণ্ঠ মেলান।

স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সভাপতি মাহমুদা মুহসিনা বুশরা, লেখক বন্ধু উৎসব ২০২৫-এর আহ্বায়ক সৌমেন্দ্র গোস্বামী, জাতীয় পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিক।

এই লেখক বন্ধুদের লেখার মান উন্নয়ন এবং লেখালেখিতে আরও উৎসাহিত করতে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে লেখক বন্ধু উৎসব। বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের উদ্যোগে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে।

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, ‘লেখক হতে চাইলে বই পড়ার বিকল্প নেই। ভালো লেখক হতে হলে প্রচুর বই পড়তে হবে । লেখালেখির কাজটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে হবে, লিখে যেতে হবে।’

সভাপতি জাফর সাদিক বলেন, ‘অনেক প্রতীক্ষার পর এ বছর আবার বন্ধু উৎসব আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। অংশগ্রহণকারী সব বন্ধু, আলোচক, প্রকাশক ও অন্যান্য অতিথির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সত্যিই অসাধারণ। আমরা বিশ্বাস করি, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে একদিন দেশসেরা লেখক তৈরি হবে। বন্ধুরাই সাহিত্যাঙ্গনে রাজ করবে।’

এই আয়োজন বন্ধুদের সাহিত্যচর্চায় আগ্রহ বাড়াবে বলে বিশ্বাস করেন সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিক। তিনি বলেন, ‘এ উৎসব প্রতিটি লেখক বন্ধুর জন্য হোক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। নতুন লেখকেরা তাঁদের চিন্তা, কল্পনা ও অভিজ্ঞতার প্রকাশ ঘটাবে; গড়বে পাঠক-লেখকের আন্তরিক সংযোগ।’

সারা দেশের বন্ধুসভার অসংখ্য বন্ধু নিয়মিত লেখালেখি করেন। অনেকের প্রকাশিত বই রয়েছে। কেউ কেউ বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। এই লেখক বন্ধুদের লেখার মান উন্নয়ন এবং লেখালেখিতে আরও উৎসাহিত করতে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে লেখক বন্ধু উৎসব। বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের উদ্যোগে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে।

অনেক প্রতীক্ষার পর এ বছর আবার বন্ধু উৎসব আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।সভাপতি জাফর সাদিক, বন্ধুসভা

লেখালেখির বিষয়ভিত্তিক কর্মশালা ছাড়াও উৎসবে উন্মুক্ত আলোচনা, লেখক বন্ধু আড্ডা, লেখক-প্রকাশক আড্ডা ও সেরা পাঁচ লেখক বন্ধু সম্মাননাসহ নানা চমক থাকছে। আলোচক হিসেবে রয়েছেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি কামরুজ্জামান কামু, কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল, সুবর্ণ প্রকাশনীর প্রকাশক শাহরিন হক, নৈঋতা ক্যাফের প্রকাশনা উপদেষ্টা রাহেল রাজিব, স্বরে অ প্রকাশনীর প্রকাশক আবু বকর সিদ্দিক রাজু এবং প্রথম আলোর অন্য আলো জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক (সাহিত্য) ফিরোজ এহতেশাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিএসসিতে আনন্দ-আড্ডায় সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থীরা
  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব
  • ঈশ্বরদীতে বর্ষা উৎসবে দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকরা
  • ‘উৎসব’–এর টিকিট নেই...
  • ‘ভালো লেখক হতে হলে প্রচুর বই পড়তে হবে’
  • টি–টোয়েন্টিতেও হার দিয়েই শুরু বাংলাদেশের
  • ৬ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি
  • সাত দিন ‘অন্যদিন…’
  • নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চলছে তারুণ্যের উৎসব